দক্ষিণের কন্নড় জেলার সুব্রমণ্যের কুক্কে শ্রী সুব্রহ্মণ্য মন্দিরের প্রবেশদ্বারে একটি ব্যানারে স্পষ্ট লেখা যে কোনো অ -হিন্দু এই উৎসবে সামিল হতে পারবে না চম্পাষষ্ঠী উৎসবে।
সাম্প্রদায়িকতা বড়ো ছোয়াঁচে।একসময় এটি ভারতবর্ষের একটি বিশেষ অংশেই সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু এখন তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে ভারতবর্ষের সর্বত্র।দক্ষিণ ভারতের সম্প্রতি একটি ঘটনা তেমনি নজির গড়লো শুক্রবার। চম্পাষষ্ঠী উৎসবকে কেন্দ্র করে দক্ষিণের কন্নড় জেলার সুব্রমণ্যের কুক্কে শ্রী সুব্রহ্মণ্য মন্দিরের প্রবেশদ্বারে একটি ব্যানার টাঙানো হয়। এই ব্যানারে স্পষ্ট লেখা যে কোনো অ -হিন্দু এই উৎসবে সামিল হতে পারবে না এবং শুধু তাই নয় উৎসবের সময় কোনো অ- হিন্দু ব্যবসায়ীকে এই মন্দিরে প্রবেশাধিকারও দেওয়া হবে না।
চম্পা ষষ্ঠী মহোৎসব শুরু হয়েছিল ২১ সে নভেম্বর থেকে এটি চলবে আগামী ৫ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই দুসপ্তাহব্যাপী উৎসবে আনন্দে মেতে ওঠেন সকল কর্ণাটকবাসী। এই মধ্যেই ২৯ সে নভেম্বরকেই চম্পা ষষ্ঠী মহারথোৎসবের সবচেয়ে শুভ দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয় ওই মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। তবে উৎসবের আয়োজনের আগেই কুক্কে শ্রী সুব্রহ্মণ্য মন্দির পরিচালনা কমিটিকেও চিঠি দিয়ে প্রশাসনকে জানায় যে তারা চাননা কোনো অ-হিন্দু ব্যবসায়ী তাদের উৎসবে সামিল হন বা এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে তাদের সুন্দরভাবে পরিচালনা করা এই উৎসবটি পন্ড করতে বিশেষ তৎপরতা দেখাক বাইরের কেউ।
এইচ জে ভি এর অন্যতম একজন সদস্য হরিপ্রসাদকে জানান যে কর্ণাটকের হিন্দু ধমীয় আইন অনুযায়ী বা দাতব্য এন্ডোউমেন্ট আইন অনুযায় হিন্দু ধর্মাচরণকারীদের কখনোই উৎসবে সামিল হয়ে ব্যবসা করতে নেই। কিন্তু অ-হিন্দুরা এই নিয়ম জানা সত্বেও তারা এই নিয়ম মানতে নারাজ হন। সেইকারণেই তাদের এই উৎসবে সামিল না হবার স্পষ্ট বার্তা জারি করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।