লক্ষ্মীর ভান্ডারে নয়, রাজ্য সরকার ১.২৭ কোটি মহিলার অ্যাকাউন্টে দিল ১২৫০ টাকা! কারা পেলেন?

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বাজেটে কোনও উল্লেখ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, তবু ১২৫০ টাকা করে পেলেন রাজ্যের প্রায় ১.২৭ কোটি মহিলা। কারা পেলেন এই টাকা? জানা গিয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার থেকেই এই টাকা ঢুকতে শুরু করেছে!

নতুন বছরে দারুণ সুখবর দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের দরুন প্রতিমাসে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা সরাসরি ঢুকে যায় মহিলাদের অ্যাকাউন্টে।

এই বছরেই আরও বাড়বে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! তারিখও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল লক্ষীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)।

এদিকে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অ্যাকাউন্টে নয়, অথচ রাজ্যের ১.২৭ কোটি মহিলার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ১২৫০ টাকা।

জানা গিয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার থেকেই এই টাকা ঢুকতে শুরু করেছে!

পরে নাকি এই টাকার পরিমাণ বেড়ে ৩০০০ টাকা। কোন প্রকল্পে এত টাকা দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের?

রাজ্য জুড়ে বসবাসকারী নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মহিলাদের আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী করে তোলা।

একই সাথে মহিলাদের যাতে নিজের স্বামী বা সন্তানদের কাছে হাত পাততে না হয়, সেজন্য আর্থিক স্বাধীনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই প্রকল্প শুধুমাত্র মহিলাদের জন্যই। কোনও পুরুষ এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

মহিলার পারিবারিক বার্ষিক আয় ২.৫০ লক্ষ টাকার কম হওয়া জরুরি। এছাড়াও এই প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি ১৯৬১ থেকে ১ জানুয়ারি ২০০০ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী মহিলারা এই প্রকল্পের যোগ্য।

উল্লেখ্য, সামাজিক ন্যায়বিচার বিভাগের যে সকল পেনশনভোগী ১২৫০ টাকার থেকে কম পেনশন পান তারাও এই প্রকল্পে সামিল হতে পারবেন।

আবেদনকারীকে মধ্যপ্রদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।

লাডলি বেহনা যোজনার (Ladli Behna Yojana) আওতায় থাকা মহিলাদের অ্যাকাউন্টে কিস্তি বাবদ ১২৫০ টাকা পাঠিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার