দেশে দাঙ্গার সংখ্যা কমছে বর্তমানে। তবে সবথেকে বেশি দাঙ্গা হয়েছিল ৮০র দশকে। সেই তথ্যই তুলে ধরলেন দেশের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।
ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ক্রমাগত কমছে। গত ৫০ বছরে দেশ শান্তিপূর্ণ পরিবেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেন্টার ফর সিস্টেম্য়াটিক পিস এর পাঁচ দশকের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিবরণ থেকে স্পষ্ট যে দেশে ক্রমাগত দাঙ্গার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। শান্তির বাতাবরণ বিরাজ করছে দেশে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি গবেষণা প্রতিবেদন পেশ করেছেন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অধ্যাপক শামিকা রবি। সেন্টার ফর সিস্টেম্যাটিক পিস সংস্থার সূত্রের ভিত্তিতে তিনি এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
অধ্যাপক শামিকা বলেন ভারতে ক্রমাগত দাঙ্গা কমছে ।দেশটি ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তথ্য থেকে এটা পরিষ্কার যে দেশে এখন দাঙ্গার কোনও জায়গা নেই। তিনি বলেছিলেন যে ,তথ্যগুলি দেখায় যে ১৯৯৮ সাল থেকে, ভারতে অনেক দ্রুত দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। আর উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি হ্রাস পেয়েছে।
১৯৫৩-২০০৬ পর্যন্ত দাঙ্গার চার্ট
একটি চার্ট শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অধ্যাপক শামিকা রবি তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে। এই চার্টটি উপস্থাপন করে তিনি বলেছেন, ১৯৫৩ সালে ভারতে দাঙ্গার সংখ্যা ১০ হাজারেরও কম ছিল। ৬০এর দশকে এই সংখ্যা ৩০ হাজারে পৌঁছে গিয়েছিল। ৭০ এর দশকে এই সংখ্যা আরও বাড়ে। ১৯৭৫ সালে দেশে ৮০ হাজারেরও বেশি দাঙ্গা হয়েছিল। তবে জরুরি অবস্থার সময় সংখ্যা কমেছে। কিন্তু তা ৬০ হাজারের নিচে নামেনি। ৮০র দশকে দেশে দাঙ্গা পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল। এই সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ৯০এর দশকেও দাঙ্গা কমেনি। শমিকা রবি বলেছেন ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দাঙ্গার সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। প্রায় ৬০ হাজারের নিচে পৌঁছে গেছে।
অধ্যাপক শমিকা রবি একটি চার্টে ৭০ দশক থেকে এখনও পর্যন্ত দাঙ্গার এফআইআরের অভিযোগগুলি তুলে ধরেছে। তিনি বলেছেন, ৮০র দশকে যে সবথেকে বেশি দাঙ্গা হয়েছে এফআইআর দেখেই তার সংখ্যা নথিভুক্ত করেছে এনসিআরবি। এরপরে সর্বাধিক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে ৯০এর দশকে। ৬০-৭০-এর দশকে দাঙ্গার সংখ্যা ছিল প্রায় ৬০ থেকে ৮০ হাজার, তারপর এই সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে হয়। ১৯৯৫ সালের পর থেকেই এই দেশে দাঙ্গার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। মনমোহন সিং সরকারের দুই মেয়াদেই দাঙ্গার সংখ্যা কম হয়েছে। মোদী সরকারের সময়ও এই অঙ্ক দ্রুত নিচের দিকে নেমে আসছে।