আনলক ভারতের মর্মান্তিক ছবি, খিদের জালায় ১০ ফুটের কুমিরকে মেরে রান্না করল গ্রামবাসীরা

  • সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও
  • যেখানে গ্রামবাসীদের কুমির হত্যা করতে দেখা যাচ্ছে
  • প্রায় ১০ ফুট লম্বা কুমিরটিকে হত্যা করে গ্রামবাসীরা
  • সেটিকে খাওয়ার জন্যই এমন নৃশংস ঘটনা ঘটান হয়

Asianet News Bangla | Published : Jul 3, 2020 8:46 AM IST / Updated: Jul 03 2020, 02:22 PM IST

দেশে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছে লকডাউন। এই সময়ে কাজ হারিয়ে আর্থিক কষ্টের মধ্যে পড়েছেন বহু মানুষ। দেশের আর্থিক বৃদ্ধিও তলানিতে চলে গেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার আনলকের পথে হেঁটেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আনলক ১ পার করে গত পয়াল জুলাই থেকে দেশে শুরু হয়েছে আনলক ২। এর মধ্যেই এক নৃশংস ঘটনা সামনে এল। ওড়িশায়  কুমিরকে মেরে খেয়ে ফেলল গ্রামবাসীরা।

জানা যাচ্ছে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার মালকানগিরির কালড়াপল্লি গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, গ্রামের পোডিয়া ব্লকের কাছে রয়েছে সাবেরি নদী। সেখানেই কয়েকজন গ্রামবাসী মিলে একটি ১০ ফুট দীর্ঘ কুমিরকে ধরে। এরপর সেটিকে বেঁধে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ধারালো হাতিয়ার দিয়ে একের পর এক কোপ মারা হয় কুমিরটির শরীরে। কুমিরটিকে মেরে তার ছোট ছোট তুরো করে এরপর গ্রামবাসীরা ভাগাভাগি করে নেয়।

কুমির হত্যার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই টনক নড়ে বন বিভাগের। ভিডিওতে দেখা যায়, কুমিরটিকে বেঁধে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পশুপ্রেমীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। কুমির হত্যায় যুক্ত গ্রামবাসীদের ধরতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে বন বিভাগের আধিকারিকরা। কিন্তু গ্রামে গিয়ে কুমিশের সামান্যতম দেহাংশও তারা খুঁজে পাননি। 

বন দফতর জেলা আধিকারিক প্রদীপ মিশ্র জানিয়েছেন, 'আমরা খবর পেয়েছিলাম একটি কুমিরকে মেরে খাওয়া হয়েছে। আমরা সেই মতো দলও পাঠাই। কিন্তু কুমিরের কোনও দেহাংশ আমরা পাইনি। তবে, দফতরের কাছে খোঁজ এসেছে এমন এক ব্যক্তির, যিনি ওই ঘটনায় যুক্ত ছিলেন। মিশ্র বলেন, 'আমরা কালপ্রিটদের ধরতে তিনটি দল গঠন করেছি।'

মালকানগিরির এই অংশ ওডিশায় প্রত্যন্ত এলাকা। বাসিন্দাদের অধিকাংশই জানেন না বন্য প্রাণী রক্ষার আইনকানুন। ফলে এই ধরনের ঘটনা ওই এলাকায় আগেও ঘটেছে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান বন দফতরের আধিকারিকরা। তবে গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, কুমরটি প্রায়শই ঢুকে পড়ে তাদের গরু, ছাগল খেয়ে নিচ্ছিল। এমনকি কয়েকবার ওই কুমির গ্রামবাসীদের উপরেও হামলা করে।

কয়েকদিন হাতেই কেরলে গর্ভবতী হাতিকে আনারসের মধ্যে বিস্ফোরক ভরে মেরে ফেলার গল্প সামনে আসে। হিমাচলেও এমন ঘটনা ঘটে, যেখানে একটি গরুর মুখ বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশে কুকুরকে বাইকের পিছনে টেনে নিয়ে যাওয়া, অসমে চিতাবাঘকে নখ-দাঁত উপড়ে হত্যা, কোচবিহারে মাংসের লোভ দেখিয়ে কুকুরকে কোপানো, হুগলির পোলবায় পথকুকুরের পা কেটে নেওয়া, তামিলনাড়ুতে বাজির টোপে শিয়াল হত্যা, তেলেঙ্গানায় বাঁদরকে গাছে ঝুলিয়ে হত্যা, গত কয়েকদিন পশু নির্যাতেনর একের পর এক ঘটনা সামনে এসেছে। তার নবতম সংযোজন ওড়িশায় কুমিরকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে মানুষের ভুড়িভোজ।
 

Share this article
click me!