অফিসারদের উপর নৃশংস হামলা, বান্ধবীদের করা হল গণধর্ষণ! আটক ২ দুষ্কৃতী
বুধবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলায় পিকনিকে যাওয়ার সময় দুই সেনা অফিসারকে মারধর করা হয় এবং তাদের দুই মহিলা বন্ধুর মধ্যে একজনকে গণধর্ষণ করে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে থেকে জানা গিয়েছে, জেলার মহু ক্যান্টনমেন্টের আর্মি ওয়ার কলেজে প্রশিক্ষণরত দুই মেজর পদমর্যাদার অফিসার দুই মহিলা বন্ধুর সঙ্গে জ্যাম গেট এলাকায় পিকনিক করতে বেরিয়েছিলেন। দলটি যখন এলাকায় পৌঁছায়, তখন কমপক্ষে আট থেকে দশ জন লোক পিস্তল, ছুরি এবং লাঠি নিয়ে তাদের গাড়িটি ঘিরে ফেলে। অভিযোগ, ওই দুই সেনা অফিসার ও তাঁদের বন্ধুকে মারধর করেন তাঁরা। হামলাকারীরা তাদের মানিব্যাগ ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্রও ছিনিয়ে নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এরপর এক অফিসার ও এক মহিলাকে আটক করে দুষ্কৃতীরা এবং তাঁদের মুক্তির জন্য ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায় তারা।
এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আক্রান্ত চারজনকেই মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য মহু সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, "অফিসারদের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হামলাকারীদের হাতে এক নারীও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে মেডিকেল রিপোর্টে নিশ্চিত করা হয়েছে।"
ঘটনার পর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) বিভিন্ন ধারায় লুটপাট, ডাকাতি, ধর্ষণ ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
ইতিমধ্যেই ইন্দোর পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এবং বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য দশটি দল গঠন করা হয়েছে।
ইন্দোরের এসপি রুরলা হিতিকা ভাসাল জানিয়েছেন, "আমরা খবর পেয়েছি জাম গেটে দুই পুরুষ ও দুই নারীসহ চারজনকে আক্রমণ ও ছিনতাই করা হয়েছে। আমরা তৎক্ষণাৎ আমাদের দল পাঠিয়েছি এবং দু'জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছি। এই মামলায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, মামলাটি সমাধানের জন্য ১০টি দল গঠন করা হয় এবং দু'জন অভিযুক্তকে আটক করা হয়। এখনও তদন্ত চলছে।"