দিল্লির উপকণ্ঠে চলা কৃষক আন্দোলন ইস্যুতেই রাজনাথ সিং কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে রাজনাথ সিং বলেন, রাহুল গান্ধী কৃষিকাজের বিষয় কিছুই বোঝেন না। তাই তাঁর বিষয়টি থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। আর টুডের বিরোধিতা করে রাজনাথ বলেন কৃষক আন্দোলন ভারতের আভ্যন্তরীন বিষয়। তাই বিশ্বের কোনও দেশেরই এই বিষয় হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। তবে কৃষকদের নক্সাল ও খালিস্তানপন্থী বলার তীব্র সমালোচনাও করেছেন তিনি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, রাহুল গান্ধী তাঁর থেকে অনেক ছোট। কৃষিকাজ নিয়ে তাঁর কোনও অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণের কারণে তাঁর সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, তিনি একজন কৃষকের সন্তান। তাই কৃষকদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে এমন কোনও সিদ্ধান্ত তিনি বা তাঁর সরকার গ্রহণ করতে পারে না। তিনি আরও বলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দরিদ্র মায়ের গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছেন সেই কারণেই কৃষকদের প্রতি সমান সমব্যাথী প্রধানমন্ত্রীও । তিনি বলেন এই বিষয় নিয়ে তিনি আর কিছুই বলতে চান না।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বারবার বলেছেন কৃষকদের স্বার্থেই কৃষি আইনে বদল করা হয়েছে। নতুন আইন কৃষকদের সমৃদ্ধ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। নূন্যতম সহায়ক মূল্য ইস্যুতে রাজনাথ সিং বলেন, আগেও যেমন এমএসপি ছিল আগামী দিনেও তা থাকবে। বিষয়টিকে আইনে পরিণত করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন এমএসপি থাকবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও একই কথা বলছেন। তাঁদের প্রতিশ্রুতিই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন গণতন্ত্রে পতিশ্রুতি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
অন্যদিকে ভারতের কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে অনেক আগেই মুখ খুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো । তিনি কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সরব হন রাজনাথ সিং। তিনি বলেন এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিশ্বের কোনও দেশেরই মন্তব্য করার অধিকার নেই। তিনি আরও বলেন, ভারত এমন কোনও দেশ নয় যে, যে যার ইচ্ছে মত এই দেশ নিয়ে মন্তব্যকরতে পারে। কৃষকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আলোচনার মধ্যেই দিয়েই জট কাটার সম্ভাবনা হয়েছে বলেও দাবি করেন রাজনাথ সিং।