উত্তর প্রদেশের হাথরসে যাওয়ার পথে যোগী পুলিশের হাতে গ্রেফতার কেরলের সাংবাদিক।কেরলের একটি ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যমের কর্মী সিদ্দিক কাপ্পান। হাথরসের টোলপ্লাজা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছেব তাঁর সহকর্মীরা। দরবার করা হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের কাছেও। ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের চিঠি লিখে জানান হয়েছে কপ্পান একজন সংবাদ কর্মী। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালনের জন্যই হাথরস যাচ্ছিলেন। পাশাপাশি আটক সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলেও জানান হয়েছে। পাশাপাশি হাথরস থানা ও রাজ্য পুলিশ প্রথম দিকে তাঁকে আটকের কোনও তথ্য না দেওয়া উদ্বেগ বাড়ছে ঘনিষ্ঠদের মধ্যে। তবে তবে পরে পুলিশ জানিয়েছে কাপ্পানান সহ চারজন সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কাপ্পান কেরলা ইউনিয়ন অব ওয়ার্কিং জার্নাসিস্টের দিল্লি ইউনিটের সম্পাদক।
২০ বছরের দলিত তরুনীকে ধর্ষণ করে খুনের করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আর পরিবারের অনুমতি ছাড়া সেই নির্যাতিতার দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া উত্তর প্রদেশ সরকার। তাই নিয়ে রীতিমত ক্ষোক্ষ বাড়ছে গোটা দেশে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য উত্তর প্রদেশ প্রশাসন ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও ক্ষোভ প্রসমন হয়নি। হাথরস কাণ্ডে রীতিমত উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ। এই পরিস্থিতি দাঁড়ি যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন উত্তর প্রদেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রেখতে একাধিক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ধরপাকড়। ১৯টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। যাদের মধ্যে কাপ্পানসহ চার সদস্য পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার।
এরআগেও কাপ্পানের সঙ্গে পপুলার ফ্রন্টের যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। যদিও তিনি তা সরাসরি খারিজ করে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি যাঁরা অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁদের আইনি নোটিশও পাঠিয়েছিলেন। কাপ্পানের সহযোগী কেএন অশোকন জানিয়েছেন সোমবার সকালেই তিনি হাথরসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু মাঝপথেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। পিএফএর ওপর গত বছর থেকেই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চেয়েছিলন উত্তর প্রদেশ সরকার। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে এই সংগঠনটি রীতিমত সরব ছিল।