গত অগাস্ট মাস থেকে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তে র গড় ৯০ হাজার থেকে ৮০ হাজেরে মধ্যেই ঘোরাফেরা করছিল। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য রীতিমত স্বস্তি দিয়েছে বিশেষজ্ঞদের। কারণ এদিন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৬২ হাজার ২৬৭ জন। যা অগাস্ট মাসের পর সবথেকে কম দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮৩ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৯ লক্ষের বেশি। বর্তমানে সুস্থ হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৫৬ লক্ষেওর বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮৮৪ জনের। মাহারিতে এখনও পর্যন্তে দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
তবে কী করোনাভাইরাসের সংক্রমিতের চূড়া থেকে নামতে শুরু করেছে দেশ। এই প্রশ্নের সরাসরি কোনও উত্তর এখনই দিতে নারাজ চিকিৎসকরা। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানান হয়েছে দেশে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। আক্রান্তে সংখ্যা কমছে। পাশাপাশি কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। সোমবাই দেশে ৭৪ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। অনেক দিন পরে দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ হাজারের থাকায় কিছুটা আশার আলো দেখছেন চিকিৎসকরা। তবে তাঁরা এখনও নিশ্চিত নন যে এই গ্রামই আগামী দিনে থাকবে। তবে বিশেষজ্ঞদের কথা আগামী ২ সপ্তাহ যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে। তবে প্রতিষেধক না আসা পর্যন্ত মারাত্মক ছোঁয়াছে এই জীবাণুর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে না বলেই দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষে থেকে আগেই জানান হয়েছিল আগামী বছর প্রথম তিন মাসের মধ্যে প্রতিষেধক হাতে পাওয়া যেতে পারে। আর সেই মতই চলছে প্রস্তুতি। প্রথম দফায় ২৫ কোটি মানুষকে টিকাপ্রদান করার বিশয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেইমত রাজ্যগুলির কাছ থেকেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তালিকা চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কথায় প্রথম দফায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীসহ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি টিকা দেওয়া হবে যাদের জীবনের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি।