'আপারেশন কমল'-এর করিশ্মা না 'নেতৃত্ব সংকট', কেন দল ছাড়ছেন কংগ্রেস বিধায়করা

রাজস্থানে আবার বিপাকে কংগ্রেস 
কিন্তু কেন দল ছাড়তে চাইছেন বিধায়করা
কংগ্রেসের নেতৃত্বের অভাবকেই দায়ি করেছে অনেকে
 

কর্নাটক থেকে যে রাজনীতি শুরু হয়েছে তা মধ্যপ্রদেশে সাফল্য পাওয়ার পরেও অব্যাহত রয়েছে গুজরাট ও রাজস্থানে। রাজ্যসভা নির্বাচনের বাকি মাত্র সপ্তহখানেক। এরই মধ্যে গুজরাতে তিন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। যা রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দ্বিতীয় আসন জয়ে রীতিমত ধাক্কা দিয়েছে। এবার সংকটে রাজস্থান। অশোক গহলত অভিযোগ করেছেন বিধায়ক কিনতে আসরে নেমেছে বিজেপি। ২০-৩০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। আর তাই কংগ্রেস দলের সব বিধায়কদের মোটের ওপর একটি রিসর্টে জড়ো করে নজরবন্দি করে রেখেছে। সাময়িকভাবে টিকে যেতে পারে অশোক গহলতের সরকার।  কিন্তু এতে কী সুদূর প্রসারি কোনও লাভ হবে? যা নিতে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কংগ্রেসের অন্দরেও উঠেছে সেই প্রশ্ন। 

রিসর্টে আটকে রেখে কংগ্রেস কর্নাটক ধরে রাখতে পারেনি। মধ্যপ্রদেশে ব্যর্থ হয়েছেন কমলনাথ সরকার। কিন্তু কেন দল ছাড়়ছেন কংগ্রেস নেতা বিধায়করা। শুধুই টাকার লোভ? নাকি গেরুয়া শিবিরে রয়েছে নিরাপত্তা? সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের এক নেতার অভিযোগ, প্রতিটি রাজ্যেই নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। পুরনোরা গদি ছাড়তে নারাজ। যে কারণে উঠে আসছে না নতুন প্রজন্ম। পরপর দুটি সাধারণ নির্বাচনে হারার পরেও যে সব তরুণ তুর্কীরা দলে থেকে গেছেন তাঁদের জায়গা ছাড়া হয়নি বলে অভিযোগ। যেমনটা ঘটেছিল জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বা শচিন পাইলটের ক্ষেত্রে। দুই তরুণ নেতা বিধানসভা নির্বাচনে জানপ্রাণ লড়িয়ে জয় এনেদিয়েছিল হাত শিবিরে। কিন্তু তারপরেও তাদের মুখ্যমন্ত্রীর আসন ছাড়া হয়নি। সূত্রের খবর জ্যোতিরাদিত্যকে কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভায় যেতেও বাধা দেওয়া হয়েছিল। তাই তিনি বিবাগী। উপমুখ্যমন্ত্রীর আসন দিয়ে শচিন পাইলটকে বসে আনা গেলেও তা কতদিন স্থায়ী হবে তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের এক নেতার কথায় এটা শুধু রাজস্থান বা মধ্যপ্রদেশ নয়। গেটা দেশেই এই ছবি। লোকসভা নির্বাচনে হারের দায় নিয়ে রাহুল গান্ধী সভাপতির আসন ছাড়লেও দেশে দায়িত্বপ্রাপ্তরা কেউই আসন ছাড়তে রাজি হননি। নতুনরা সুযোগ না পাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেই দল ছাড়ছে বলে মনে করছে কংগ্রেসের একাটা অংশ। 

Latest Videos

অন্যদিকে ক্ষমতায় থাকায় বিজেপির হাতে প্রভাব প্রতিপত্তি বেশি। গোটা দলের রাশই নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহর হাতে। সেখানে রাজ্যস্তরের নেতৃত্বের খুব একটা বক্তব্য থাকে না বলেই দাবি বিজেপির এক নেতার। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়ছে। তাতে সাফল্যই এসেছে। কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ গোয়ার উদাহরণও তুলে ধরেছেন তিনি। আর পরপর দুটো নির্বাচনে জয় লাভ করে দালটির আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। দলীয়  কর্মীরাও কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করার কথা ভাবতে পারেন না। তাই অপারেশন কমল একের পর এক সাফল্য এসেছে পদ্মশিবিরে, এমনই দাবি করেছেন বিজেপির এক নেতা। 

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে বিজেপির সঙ্গে ভোট যুদ্ধে লড়াই করতে গেলে কংগ্রেসের চাই নতুন মুখ। দৃঢ় নেতৃত্ব। 

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'তৃণমূলের দুয়ারে সরকার এখন দুয়ারে জঙ্গি', তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari
Suvendu Adhikari: 'কত বড় জিহাদি, রামনবমীর মিছিলে ঢিল মেরে দেখাও', হুঙ্কার শুভেন্দুর
খাদান নিয়ে Dev কে বিশ্রী আক্রমণ রাজের, দেবের পাশে দাঁড়িয়ে পাল্টা দিলেন Aritra Dutta Banik
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন
‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh