ইমরান খানের '১৬০০ বৃত্তি'র আড়ালে লুকিয়ে ঘোর বিপদ, তরুণ-কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগে ভারত

 কাশ্মীরি ছাত্রদের বৃত্তি দিতে চায় পাকিস্তান

তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে নিরাপত্তা বাহিনী

তাদের বক্তব্য এটা পাকিস্তানের ভারত বিরোধী পরিকল্পনার অংশ

কীভাবে সিক্ষার্থীদের জঙ্গি বানাচ্ছে ইমরান খানের দেশ

amartya lahiri | Published : Jun 11, 2020 4:16 PM IST / Updated: Jun 11 2020, 09:47 PM IST

পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ১৬০০ জন কাশ্মীরি শিক্ষার্থীকে পেশাগত কোর্স করার জন্য ইমরান খান সরকারের বৃত্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু, আপাত নিরিহ এই পদক্ষেপে বড় বিপদের আশঙ্কা করছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এটা পাকিস্তানের একটা বৃহত্তর ভারত বিরোধী চক্রান্তের অংশ বলে দাবি করছে তারা।

নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, তরুণ কাশ্মীরিদের উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করার ছক কষছে পাকিস্তান। পড়ানোর নাম করে তাঁদের ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়া হতে পারে। এভাবে বারতের পাকিস্তানের পক্ষে কাশ্মীর এলাকায় সহানুভূতিশীল একটা বৃহত্তর জনগোষ্ঠী তৈরির পরিকল্পনার করছে পাকিস্তানয তারই অংশ এই ১৬০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তির সুযোগ। জম্মু-কাশ্মীরের সেনা কর্তারা বলছেন, এমন অনেক ঘটনাই দেখা যায়, যেখানে কমবয়সী কাশ্মীরিরা পড়াশোনা করতে ওয়াঘা-আত্তারী সীমান্ত চৌকি দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেছে এবং পরে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে উপত্যকায় ফিরে এসেছে।

এই বছরের শুরুতেই পাকিস্তান সংসদে প্রথম এই ১,৬০০ কাশ্মীরি ছাত্রছাত্রীকে পেশাদার পাঠক্রমে বৃত্তি দেওয়ার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল পাক সরকার। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরএই কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের এই ধরণের বৃত্তি দেয় পাকিস্তান। তবে এতদিন অল্প সংখ্যাতেই আবদ্ধ ছিল সেইসব বৃত্তি প্রদান। কাশ্মীর পুলিশের হিসাব অনুযায়ী এই মুহূর্তে প্রায় দেড়শ কাশ্মীরি শিক্ষার্থী পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে পড়াশোনা করছে।

পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই ছাত্রছাত্রীদের বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই হুরিয়ত-এর মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি বা হিজবুল মুজাহিদিন বা ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিলের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সুপারিশ নিয়ে পাক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন। উদাহরণ স্বরুপ তারা বলেছে হুরিয়ত নেতা নইম খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একটি নথি। যেখানে নইম খান এক কাশ্মীরি ছাত্রকে পাকিস্তানের একটি মেডিকেল কলেজে ভর্তি নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। কারণ হিসাবে বলেছিলেন ওই ছাত্রের পরিবার যে কোনও রকম পরিস্থিতিতে কাশ্মীরিদের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

তাই নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, শিক্ষার্থী-ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে যাওয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীই হয় প্রাক্তন জঙ্গিদের আত্মীয় বা বিভিন্ন দেশবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত সক্রিয় জঙ্গিদের পরিবারের সদস্য। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তারা হুরিয়ত নেতাদের নিকটজন। তবে দিল্লির এক সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, পাকিস্তানের বৃত্তি নিয়ে পিওকে বা পাকিস্তানে পড়তে গেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে শিক্ষার্থীদেরই। কারণ পাকিস্তানি ডিগ্রির ভারতে কোনও স্বীকৃতি নেই।

Share this article
click me!