
Operation Sindoor: তিন বাহিনীর উচ্চ স্তরের কর্তারা উপস্থিত রয়েছেন সাংবাদিক বৈঠকে (india pakistan operation sindoor news)। সেখানে জানানো হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিকল্পনার মূল সামরিক লক্ষ্যই ছিল যে, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত অপরাধী এবং পরিকল্পনাকারীদের শাস্তি দেওয়া এবং জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করা (india pakistan operation sindoor)।
মোট ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে (india pakistan operation sindoor live)। যার ফলে, ১০০-রও বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ইউসূফ আজ়হার, আবদুল মালিক রাউফ এবং মুদসসর আহমেদ। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে আইসি ৮১৪ অপহরণ এবং পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিরাও রয়েছে (india pakistan operation sindoor update)।
তবে ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে বেশ কিছু জনবহুল গ্রাম এবং গুরুদ্বারের মতো ধর্মীয় স্থানে আঘাত হানার চেষ্টা করে। কিন্তু দেশের অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।
সেইসঙ্গে, মুরদিকের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা পরবর্তী মুহূর্তও প্রকাশ করা হয়েছে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে। ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল ঘাই বলেন, ৯-১০ মে রাতে ভারতীয় আকাশসীমার অভ্যন্তরে ঢুকে ড্রোন এবং বিমান হানার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। এমনকি, তারা বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিতে হামলারও চেষ্টা করে। কিন্তু সেগুলির মধ্যে বেশিরভাগই প্রতিহত করেছে সেনাবাহিনী (chaklala air base)।
তার মধ্যে কয়েকটি আছড়ে পড়লেও, কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অন্যদিকে, ৭-১০ মে’র মধ্যে ভারতীয় সেনার পাল্টা জবাবে পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর প্রায় ৩৫-৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানালেন ডিজিএমও ঘাই (india attacks pakistan)।
পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকে এয়ার মার্শাল ভারতী পরিষ্কার জানান, জবাবি হামলায় পাকিস্তানের বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয় ভারতীয় বাহিনীর তরফ থেকে। তার মধ্যে চাকলালা এবং রফিকি সহ বেশ কিছু অঞ্চল রয়েছে। পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, তাদের আগ্রাসী মনোভাবকে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না (pakistan broke ceasefire)।
ভারতের সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পরিষ্কার জানানো হয়, পাকিস্তানি সেনা বা সীমান্তের ওপারের বাসিন্দাদের সঙ্গে ভারতের কোনও লড়াই নেই। ভারতের লড়াই শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। যে জঙ্গিদের নিধনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের নিকেশ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পাকিস্তানের তরফ থেকে হামল চালানো হয়েছে। সেইজন্যই ভারতকে পাল্টা জবাব দিতে হয়েছে (india pakistan war pakistan news)।
শনিবার দুপুর ৩.৩৫ মিনিটে পাকিস্তানের ডিজিএমও-র সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। সেই আলোচনায় উভয়পক্ষই শনিবার বিকেল ৫টা থেকে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। ঘাই জানান, পাকিস্তানের ডিজিএমও নিজেই এই প্রস্তাব দেন। আগামী ১২ মে দুপুর ১২টায় এই নিয়ে আরও একবার আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু হতাশাজনক এবং প্রত্যাশিতভাবেই পাকিস্তানিবাহিনী মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে (ceasefire violations india pakistan)।
শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত ড্রোন হানার চেষ্টা চালানো হয়েছে পাক বাহিনীর তরফ থেকে। তবে তার পাল্টা জবাবও দেওয়া হয়েছে। ঘাই জানান, রবিবার পাকিস্তানি ডিজিএমও-কে হটলাইনে পরিষ্কার বার্তা পাঠানো হয়েছে। ১০ মে-র সমঝোতা লঙ্ঘন করার বিষয়টিও জানানো হয়েছে। রবিবার রাতে বা তারপরে যদি এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে সেনা কমান্ডারদের তা প্রতিহত করতে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়ে দেন ঘাই।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।