পরিস্থিতি কিছুতেই আয়ত্বে আসছে না। সব রেকর্ড ভেঙে বৃহস্পতিবার দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৩ হাজারের বেশি। একদিনে কোন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় এটা ছিল বিশ্বরেকর্ড। শুক্রবারও দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ হাজারের উপরেই থাকল। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৮৩ হাজার ৩৪১ জন। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ৭৪৮। আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বে প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকাতে এখন মোট আক্রান্ত ৬১ লক্ষ ৪৯ হাজার ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে সংখ্যাটা ৪০ লক্ষ ৪১ হাজার।
বৃহস্পতিবারও দেশে করোনা প্রাণ কেড়েছে হাজারের বেশি মানুষের। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১,০৯৬ জনের। ফলে ভারতে কোভিড ১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৮ হাজার ৪৭২। বর্তমানে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যায় ৩ নম্বরে রয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন: ''কিল নরেন্দ্র মোদী'', এনআইএ-র হাতে আসা গোপন ই-মেলে ফাঁস প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক
এর মধ্যেই অবশ্য রয়েছে আশার খবরও। ভারতে করোনাজয়ীর সংখ্যা ৩০ লক্ষ পেরিয়ে গেল শুক্রবার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযীয় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩০ লক্ষ ৩৭ল হাজার ১৫২ জন। ফলে সক্রিয় রোগীয় সংখ্যা দেশে এখন ৮ লক্ষ ৩১ হাজার ১২৪। শতাংশের হিসাবে যায় ২১.১১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৬৬,৬৫৯ জন। এখনও পর্যন্ত ভারতে সুস্থতার হার ৭৭.১৫ শতাংশ । মৃতের হার কমে হয়েছে ১.৭৪ শতাংশ।
এদিকে বুধবার করোনা পরীক্ষায় রেকর্ড গড়েছিল ভারত। একদিনে করোনা পরীক্ষা হয়েছিল ১১ লক্ষের উপরে। বৃহস্পতিবারও নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা থাকল ১১ লক্ষের উপরেই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার গোটা দেশে ১১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৬৫ কোভিড টেস্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে ভারতে এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৬৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ১৪৫ নমুনার কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। গত চার দিন ধরে তা ৭ শতাংশেই বন্দি রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণ হার ৭.১২ শতাংশ।
কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যু দু’টি তালিকাতেই এখনও শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে মোট আক্রান্ত ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৪৪ জন। এখনও দৈনিক প্রায় ১৮ হাজার সংক্রমণ হচ্ছে মারাঠা রাজ্যে। দিন কয়েক আগেই তামিলনাড়ুকে পিছনে ফেলে সংক্রমণ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানে দৈনিক আক্রান্ত হচ্ছেন গড়ে ১০ হাজার জন। যার জেরে মোট আক্রান্ত চার লক্ষ ৬৫ হাজার ৭৩০ জন। তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত চার লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৫১। তামিলনাড়ুতে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি আগের থেকে একটু কমে ৬ হাজারের গণ্ডিতে বন্দি থাকছে। চতুর্থ স্থানে থাকা কর্নাটকে মোট সংক্রমিত হয়েছেন তিন লক্ষ ৭০ হাজার জন। উত্তরপ্রদেশেও মোট আক্রান্ত দু’লক্ষ ৪৭ হাজার। রাজধানী দিল্লি পরিস্থিতি তুলনায় কিছুটা ভাল। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮২ হাজার। বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭১ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ৭ আগস্ট দেশে মোট আক্রান্ত ২০ লক্ষ ছাপিয়েছিল। ২৩ আগস্ট সংখ্যা ৩০ লক্ষ ছাড়ায়া। আর ৪ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যাটা ৩৯ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল।