আজ সকালে গান্দেরবালে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। তাতে লস্কর-ই-তইবার এক জঙ্গি খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি পুলওয়ামার চেওয়াকলানে গতরাত থেকেই শুরু হয় গুলির লড়াই।
একদিকে যখন ইউক্রেনে (Ukraine) যুদ্ধ চলছে। ঠিক সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীরেও (Jammu And Kashmir) মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি (Terrorists)। গতকাল রাতেই জঙ্গিদের হাতে খুন হন বিজেপির (BJP) এক পঞ্চায়েত প্রধান (Sarpanch)। আর তারপরই বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি কার্যকলাপের কথা জানতে পেরে প্রায় ৪ থেকে ৫ জায়গায় যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী (Security Forces) ও পুলিশ (Kashmir Police)। গতকাল রাত থেকেই শুরু হয় অভিযান। আর তার জেরে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) ও লস্কর-ই-তইবার (Lashkar-e-Taiba) চারজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান।
আজ সকালে গান্দেরবালে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। তাতে লস্কর-ই-তইবার এক জঙ্গি খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি পুলওয়ামার চেওয়াকলানে গতরাত থেকেই শুরু হয় গুলির লড়াই। সেই লড়াইয়ে জইশ-ই-মহম্মদের দুই জঙ্গি ও এক পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপতত সেখানে শেষ হয়েছে লড়াই।
এই অভিযান প্রসঙ্গে কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার বলেন, "আমরা গতকাল রাতে ৪ থেকে ৫টি স্থানে যৌথ অভিযান শুরু করি। এখনও পর্যন্ত পুলওয়ামায় (Pulwama) ১ জন পাকিস্তানি-সহ জইশ-ই-মহম্মদের ২ জন জঙ্গি খতম হয়েছে। এছাড়া গান্দেরবাল ও হান্দওয়ারায় (Handwara) লস্কর-ই-তইবার ১ জন করে জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। হান্দওয়ারা ও পুলওয়ামায় এনকাউন্টার শেষ হয়েছে। ১ জঙ্গিকে জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলওয়ামায় এনকাউন্টার শেষ হলেও এখনও পর্যন্ত জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান।
আরও পড়ুন- গুজরাটে বর্ণাঢ্য রোড শেষ করে মায়ের সঙ্গে একান্তে মোদী, খাওয়া-দাওয়া সারলেন বাড়িতেই
শুক্রবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে খুন হন বিজেপির (BJP) এক পঞ্চায়েত প্রধান। শুক্রবার সন্ধ্যায়, দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের (Kulgam) অডোরা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 'ওকে' গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান শাবির আহমেদ মীরের উপর নির্বিচারে গুলি চালায় একদল অজ্ঞাত পরিচয় সন্ত্রাসবাদী। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে কুলগামের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরই জম্মু ও কাশ্মীরের ৪ থেকে ৫টি জায়গায় শুরু হয় নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের যৌথ তল্লাশি অভিযান।
এলাকায় ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা হিসাবেই পরিচত ছিলেন শাবির। তাঁর স্ত্রী, নুসরতও একজন পঞ্চায়েত প্রধান। সম্প্রতি, উপত্যকায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। চলতি বছরে, এই নিয়ে কাশ্মীরে পঞ্চায়েত সদস্যদের ওপর এটি তৃতীয় হামলা এবং কুলগামে দ্বিতীয়। বস্তুত, গত দুই দিনের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় পঞ্চায়েত প্রধানের মৃত্যু হল জঙ্গিদের গুলিতে। গত ৯ মার্চ, শ্রীনগরের (Srinagar) উপকণ্ঠে খানমোহতে, আরেক পঞ্চায়েত প্রধান সমীর আহমেদ ভাটকেও, তার বাড়িতেই গুলি করে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। তার আগে, ২ মার্চ, কুলগামে একজন নির্দল পঞ্চায়েত প্রধানকেও হত্যা করা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে মাসে, কুলগামের আরেক নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ ইয়াকুন দারও, তাঁর গ্রামের বাড়িতে খুন হয়েছিলেন।