সংক্ষিপ্ত
ফের জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) সন্ত্রাসবাদীদের হাতে খুন বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত প্রধান। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের (Kulgam) এই ঘটনা নিয়ে এই বছর খুন হলেন তিন পঞ্চায়েত প্রধান।
ফের জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) সন্ত্রাসবাদীদের হাতে খুন বিজেপির (BJP) এক পঞ্চায়েত প্রধান। শুক্রবার সন্ধ্যায়, দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের (Kulgam) অডোরা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 'ওকে' গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান শাবির আহমেদ মীরের উপর নির্বিচারে গুলি চালায় একদল অজ্ঞাত পরিচয় সন্ত্রাসবাদী। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁকে অবিলম্বে কুলগামের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এলাকায় ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা হিসাবেই পরিচত ছিলেন শাবির। তাঁর স্ত্রী, নুসরতও একজন পঞ্চায়েত প্রধান। সম্প্রতি, উপত্যকায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। চলতি বছরে, এই নিয়ে কাশ্মীরে পঞ্চায়েত সদস্যদের ওপর এটি তৃতীয় হামলা এবং কুলগামে দ্বিতীয়। বস্তুত, গত দুই দিনের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় পঞ্চায়েত প্রধানের মৃত্যু হল জঙ্গিদের গুলিতে।
গত ৯ মার্চ, শ্রীনগরের (Srinagar) উপকণ্ঠে খানমোহতে, আরেক পঞ্চায়েত প্রধান সমীর আহমেদ ভাটকেও, তার বাড়িতেই গুলি করে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। তার আগে, ২ মার্চ, কুলগামে একজন নির্দল পঞ্চায়েত প্রধানকেও হত্যা করা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে মাসে, কুলগামের আরেক নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ ইয়াকুন দারও, তাঁর গ্রামের বাড়িতে খুন হয়েছিলেন।
২০১৯ সালের অগাস্টে, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করেছিল মোদী সরকার। তারপর ২০২০ সালে হয়েছিল পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সংস্থাগুলির নির্বাচন। এরপর ধীরে ধীরে কাশ্মীরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফেরানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছিল কেন্দ্র। তবে, এখন, সেই নির্বাচিত মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলির পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের, বেছে বেছে নিশানা করছে জঙ্গিরা। একের পর এক পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যদের হত্যা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় তাঁরা তাদের যথেষ্ট সুরক্ষার দিতে না পারার অভিযোগ এনে তীব্র সমালোচনা করছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনকে।
অন্যদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায়, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় আবার নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে একটি সংঘর্ষ চলছে বলে জানিয়েছে উপত্যকার পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার চেওয়াক্লান এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তারপরই ওই পুরো এলাকাটি ঘিরে ফেলে অনুসন্ধান অভিযান শুরু করা হয়েছিল। এরপর, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করলে, সেই তল্লাশি অভিযান সংঘর্ষে পরিণত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় চলছে। বৃহস্পতিবার, নাইরা বাটপোরায় এরকমই এক এনকাউন্টারে দুই লস্কর-ই-তৈবা (LeT) সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে।