
পহেলগাঁও আক্রমণ: পাকিস্তানি সেনা সীমান্তে টানা পঞ্চম দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করেছে। সোমবার রাতে পাকিস্তানি সেনা বিনা উস্কানিতে ছোটো অস্ত্র দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) বরাবর বিভিন্ন স্থানে গুলি চালায়। ভারতীয় সেনা জোরালোভাবে পাল্টা জবাব দিয়েছে।
কুপওয়ারা এবং বারামুলা জেলা সহ অখনুর সেক্টরেও গুলিবর্ষণ হয়েছে। পহেলগাম জঙ্গি হামলার পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এরই মধ্যে পাকিস্তানি সেনা টানা পঞ্চম দিন যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করেছে। পহেলগাম হামলার পর থেকে পাকিস্তানের তরফ থেকে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে।
১ এপ্রিল: কৃষ্ণা উপত্যকা সেক্টরে মাইন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করা। এরপর নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তানি সেনারা বিনা উস্কানিতে গুলি চালায়।
২২-২৩ এপ্রিল: পহেলগাম জঙ্গি হামলার রাতে পুঞ্চ জেলায় সীমান্তে গুলিবর্ষণ হয়।
২৪-২৫ এপ্রিল: মধ্যরাতে কুপওয়ারায় সীমান্ত পার হয়ে গুলি চালানো হয়।
২৫-২৬ এপ্রিল: নিয়ন্ত্রণ রেখায় ৩৪টি স্থানে গুলিবর্ষণ হয়।
২৬-২৭ এপ্রিল: কুপওয়ারা জেলায় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের দুটি ঘটনা ঘটে।
২৮ এপ্রিল: সোমবার রাতে পাকিস্তানি সেনার চৌকিগুলি নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হয়ে কুপওয়ারা এবং পুঞ্চ জেলার সংলগ্ন এলাকাগুলিকে লক্ষ্য করে ছোটো অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়।
২২ এপ্রিল জঙ্গিরা পহেলগামে হামলা চালায়। এর ফলে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। এই ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেয়। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা হয়। পাকিস্তানের জনগণকে দেওয়া ভিসা বাতিল করা হয়। আটারি সীমান্ত বন্ধ করা হয় এবং কূটনৈতিক মিশনের আকার ছোট করা হয়।