পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচির বহু পুরনো ভারতীয় দূতাবাসটি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ তোলা হল ভারতের পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ওই ভারতীয় দূতাবাসটি বেআইনিভাবে দখল করার চেষ্টা করে কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি।
আর এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার হায়দার শাহ-এর কাছে অভিযোগ জানায় ভারত সরকার। সূত্রের খবর, বুধবার রাতে আচমকাই কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি হানা দেয় করাচির ওই ভারতীয় দূতাবাসে, এবং তাঁরা দাবি করে ভারত সরকারের এই সম্পত্তি আর দখল করে রাখা যাবে না, এবং তা অবিলম্বে খালি করে দিতে হবে। আর এরপরই সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীকে ভয় দেখিয়ে একদল লোক সেই দূতাবাসে জোর করে প্রবেশ করে।
প্রসঙ্গত ১৯৯৪ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল করাচির ওই দূতাবাসটি। পাক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই শহরে ভারতীয় কূটনীতিদের সরাতেই দূতাবাসটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। এর অন্যতম কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল ১৯৯৩ সালে যে ধারাবাহিক মুম্বই হামলার ছক কষা হয়েছিল, সেখানে ভারতীয় কূটনীতিদের উপস্থিতি চাইছিল না পাক সেনাবাহিনী, তাই সেকারণেই বলেই দূতাবাসটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় পাক প্রশাসন। তারপর থেকেই ঐতিহ্যপূর্ণ এ ই ছ'তলা ভলা ভবনটি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে।
ফের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান, মধ্যরাতে লাইন অব কন্ট্রোলে চলল গোলাবর্ষণ
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত বাড়লেই ফাঁকা বাড়িটিতে বসে মদের আসর, অনেকসময়ে মাদক পাচারকারীদেরও ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় ওই বাড়ির আশেপাশে। বাড়টির বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরি করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। আর এবার ধীরা ধীরে সমগ্র ভবনটির দখল নিয়ো নেওয়ার জন্যই এমনটা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।