মিথ্যা বলেছিল পাকিস্তান! কীভাবে অত্যাচার চলেছিল অভিনন্দনের উপর, জানেন

  • পাক হানাদার বিমানকে তাড়া করতে গিয়ে বন্দী হয়েছিলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান
  • তাঁকে মুক্তি দেওয়ার সময় পাকিস্তান জানিয়েছিল তাঁকে কোনও অত্যাচার করা হয়নি
  • কিন্তু, অভিনন্দনকে ৪০ ঘন্টা ধরে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করেছিল আইএসআই

 

amartya lahiri | Published : May 16, 2019 1:05 PM IST

ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার পর এক ভিডিও প্রকাশ করে, পাকিস্তান জানিয়েছিল তাঁকে কোনও অত্যাচার করা হয়নি। আঘাতের চিহ্ন ছিল তাঁর শরীরে, তা সবই স্থানীয় মানুদের আক্রোশের ফল বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু, অভিনন্দন তাঁর 'ডিব্রিফিং'-এর সময় জানিয়েছেন, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই, তাঁর উপর নাগারে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালিয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্র এই খবর ফাঁস করেছে।

জানা গিয়েছে পাক সেনাদের হাতে ধরা পড়ার ৪-৫ মধ্যেই ইসলামাবাদের পাক সেনাবাহিনীর আবাসন থেকে উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে রাওয়ালপিন্ডিতে নিয়ে এসেছিল আইএসআই অপারেটিভরা। তারপর টানা ৪০ ঘন্টা ধরে তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চলেছে।

তাঁকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। চোখের সামনে উজ্জ্বল আলো জ্বেলে রাখা হয়েছিল। সেই সঙ্গে কানের পাশে সমানে উচ্চগ্রামে গান-বাজনা চালানো ছিল। প্রতি আধঘন্টা অন্তর একজন করে আইএসআই-এর অফিসার এসে তাঁকে প্রচন্ড মারধর করে। তাঁর কাছ থেকে কোনও বিশেষ তথ্য আদায়ের ,চেষ্টা করা হচ্ছিল না কি কারণে তাঁর উপর এই অত্যাচার চলেছে তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাক জেটকে তাড়া করে নামাতে গিয়ে নিজেও বিপদে পড়েছিলেন  এই ভারতীয় বায়ুসেনার উইংমান্ডার। প্রাণে বাঁচলেও তাঁর প্যারাসুট অবতরণ করে পাক ভুখণ্ডে। স্থানীয় পাকিস্তানিরা যখন তাঁকে মারধর করছিল, সেই সময় তাঁকে উদ্ধার করে এনছিল বলে দাবি করেছিল পাক সেনা। সেই দাবি সঠিক বলেই জানিয়েছেন অভিনন্দন। বস্তুত সেনা সদস্যরা তাঁর সঙ্গে ভালো ব্যবহারই করেছিল। ইসলামাবাদের পাক সেনার মেসে এনে তাঁকে চা-কফিও খাওয়ানো হয়। মুক্তির পর পাক সরকার যে ভিডিও প্রকাশ করেছিল, তাতে যে চা খাওয়ার ফুটেজ রয়েছে, তা সেই সময়ই তোলা হয়েছিল। কিন্তু, তার কিছু পরেই আইএসআই তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল।

ওই ভিডিওয় অভিনন্দনকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছিল। যা সর্বৈব সাজানো বলে দাবি করেছেন উইং কমান্ডার। তাঁর মতে ওই গলাটি তাঁর নয় এবং তা পরীক্ষা করলেই প্রমাণ হয়ে যাবে।

 

Share this article
click me!