
জম্মু কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার তার পাল্টা হিসাবে আটটি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদ। তার মধ্যে অন্যতম সিমলা চুক্তি।
জম্মু কাশ্মীরের ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে পাক ক্ষোভ। নিরীহ পর্যটকদের হত্যার জবাব দিতে অ্যাকশন মোডে রয়েছে ভারত। এবার পাল্টা দিতে ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি ভঙ্গ করতে চাইছে পাকিস্তান! সূত্রের খবর, ভারতের সঙ্গে সিমলা চুক্তি স্থগিত রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান
ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৭২ সালের ২ ও ৩ জুলাইয়ের মধ্যরাতে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জুলফিকার আলি ভুট্টো সিমলা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।
১৯৭২ সালের জুলাই মাসে এই সিমলা চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি রক্ষার বার্তা দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। যা কার্যকর হয়েছিল ওই বছরের অগাস্ট মাস থেকে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ১৯৭১ এ পাকিস্তানের পরাজয়। ভারতের কাছে পাক সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পন ও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এলওসি নির্ধারিত হয়েছিল এই চুক্তির মধ্য দিয়ে।
পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাওয়াজা আসিফের দাবি, পাকিস্তান নিজেই দশকের পর দশক ধরে সন্ত্রাসবাদের শিকার। আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলির সঙ্গে মিলে তিনদশক ধরে জঙ্গি চাষ করছে পাকিস্তান
পাক নাগরিকদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। বন্ধ সার্ক ভিসা। এবার পাক আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল পাকিস্তান। সেই সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখা নিয়েও ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাহবাজ সরকার।।
সময় যত গড়াচ্ছে ততই চওড়া হচ্ছে পাকিস্তান বিরোধী সুর। ইতিমধ্যে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ নির্দেশ দিয়েছেন ধরে ধরে পাক নাগরিক চিহ্নিত করে তাদের ফেরত পাঠানোর।
ক্রমশ বাড়ছে ভারত-পাক উত্তেজনা। এর মধ্যেই সিমলার ঐতিহাসিক রাজভবনের টেবিল থেকে উধাও পাকিস্তানের পতাকা। ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে এই ঐতিহাসিক রাজভবনেই স্বাক্ষরিত হয়েছিল সিমলা চুক্তি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে শুক্রবার। তবে কখন পাকিস্তানি পতাকা সরানো হয়েছিল তা স্পষ্ট না হলেও, রাজভবনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে প্রতিবেশী দেশের পতাকা “টেবিলে ছিল না”।