লঘু পাপে এ কী দণ্ড, নাবালিকা মেয়ের সঙ্গেই বাবার বিয়ে দেওয়ার নিদান পঞ্চায়েতের

গঙ্গায় ডুব দিয়ে লোক খাইয়ে প্রায়শ্চিত্ত করতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু তা মানেনি পঞ্চায়েত।

তারা নিদান দেয় তারই নাবালিকা কন্য়াকে বিবাহ করার।

কোন অপরাধে এমন প্রায়শ্চিত্তের কতা বলা হল?

amartya lahiri | Published : Feb 17, 2020 8:32 AM IST

মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম। গ্রামের এক ব্যক্তির মোটরবাইকে ধাক্কা লেগে মৃত্যু হয়েছিল একটি বাছুরের। আর তার জেরেই তাকে দেওয়া হল অদ্ভূত প্রায়শচিত্তের নিদান। গ্রাম পঞ্চায়েত তাঁকে তারই নাবালিকা কন্য়াকে বিবাহ করতে বলল। তবে শেষ পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের তৎপড়তায় এই বিপর্যয় ঘটেনি।

পাথারিয়া থানার ইনচার্জ বিডি সিং জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে ওই ব্যক্তি মোটর বাইক নিয়ে ফিরছিলেন। আচমকা পথের উপর একটি বাছুর উঠে আসে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় ওই বাছুরটি। তারপর ওই ব্যক্তি নিজে থেকেই  প্রায়শ্চিত্তের কাজ শুরু করেছিলেন। প্রথমে গিয়ে গঙ্গায় ডুব দেন। তারপর গ্রামের সকলকে ডেকে ভোজসভার আয়োজন করতে যান। সেই সময়ই গ্রামের লোকেরা তাঁর বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাছুরের মৃত্যুর কথা জানতে পারে।

তারপরই বেঁকে বসে পঞ্চায়েত। তারা জানিয়ে দেয়, গঙ্গায় ডুব দিয়ে আর লোক খাওয়ালেই প্রায়শ্চিত্ত সম্পূর্ণ হবে না। তারাই তাঁকে তাঁর নাবালিকা কন্যাকে বিবাহ করার নিদান দেয়। বিয়ের সব আয়োজনও করা হয়। কিন্তু স্থানীয় কিছু লোক মারফৎ ওই বিয়ের খবর পায় পুলিশ ও প্রশাসন। এরপর গিয়ে বিয়ের আসরেই সেই বিয়ে থামায় তারা।

তবে, মধ্যপ্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সামাজিক প্রায়শ্চিত্ত-এর যথেষ্ট প্রচলন রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষদের বয়সের নির্বিশেষে তাদের নিজেদের কন্যাকেই বিয়ে করতে বলা হয়। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস একমাত্র কন্যাদানেই প্রায়শ্চিত্ত সম্ভব।

Share this article
click me!