আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে ২০টি কাজের দিন পাওয়া যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। গত বছর করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে শীতকালীন অধিবেশন হয়নি।
আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session)। সোমবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি অর্থাৎ সিসিপিএ (CCPA)-র বৈঠকে এমনটাই সুপারিশ করা হয়েছে। অধিবেশন চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। গত দেড় বছরে যেভাবে কোভিড বিধি (Covid Protocol) মেনে অধেবেশন চলেছিল এবারও তেমনটাই হবে বলেও জানান হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সভাপতিত্বে সিসিপিএ ২৯ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর শীতকালীন অধিবেশনের দিন সুপারিশ করেছে।
আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে ২০টি কাজের দিন পাওয়া যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। গত বছর করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে শীতকালীন অধিবেশন হয়নি। পাশাপাশি বাদল ও বাজেট অধিবেশনেরও সময়সীমা কমান হয়েছিল। সরকার পক্ষের অভিযোগ ছিল বিরোধীদের প্রবল বিক্ষোভের কারণে গত বাজেট ও বাদল অধিবেশন তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়নি। পাল্টা বিরোধীদের অভিযোগ ছিল সরকার পক্ষ জোর করে আলোচনা না করেই বিল পাশ করিয়ে নিয়েই আগ্রহী।
Rafale deal: ভারতকে রাফাল যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে কোটি কোটি টাকা ঘুষ, ফরাসি রিপোর্টে চাঞ্চল্য
Tamil Nadu Rain: ঘর থেকে রাস্তা জল থই থই চেন্নাই, নিম্নচাপের কারণে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস
তবে এবার শীতকালীন অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি পোট্রেল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। যদিও সম্প্রতি পেট্রোপণ্যের দাম কিছুটা কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই পথে হেঁটে বেশ কয়েকটি রাজ্যেই জ্বালানি তেলের দাম কমিয়েছে। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের সাধারণ নাগরিকদের ওপর জঙ্গি হামলা, লাখিমপুর খেরির হিংসাসহ কেন্দ্রীয় সরকারের পাশ করা তিনটি কৃষি আইন নিয়েও আলোচনা হতে পারে। কারণ দীর্ঘ দিন ধরেই কৃষি আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে দিল্লির সীমানায় প্রতিবাদ অবস্থানে রয়েছে। কারণ এই বিষয়গুলি নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে কোনঠাসা করতে উদ্যোগ নিতে পারে বিরোধীরা। তাই গত বাজেট ও বাদল অধিবেশনের মতই আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেও ঝড় উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংসদীয় কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী সংসদের উভয় কক্ষ- রাজ্যসভা আর লোকসভা একসঙ্গে পরিচালনা করা হবে। তবে উভয় কক্ষের সদস্যদের মতই সামাজিক দূরত্ব নিয়মগুলি অনুসরণ করতে হবে। সাংসদদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আগে কোভিড ১৯ পরীক্ষাও করতে ববা হতে পারে। পাশাপাশি থাকতে আগের অধিবেশনগুলির মতই থাকতে পারে স্যানিটাইজেশনের ব্য়বস্থা।