কাঠুয়া কাণ্ডের রায় ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। সাত অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করল পাঠানকোট আদালত।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় কাঠুয়া। ঘোরা চরাতে গিয়ে নিখোঁজ হন কাশ্মীরের এই আট বছরেরে ফুটফুটে শিশু। মৃত শিশুটির পরিবারের কথা ভেবে এই মামলাকে নিয়ে যাওয়া হয় পাঠানকোটে। সিবিআই-এর তরফে সঞ্জি রাম, তার ছেলে বিশাল, ভাইপো আনন্দ দত্ত, দুই পুলিশকর্তা তিলক রাজ ও আন্দ দত্তকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ৯৭৬ (ঘ), ৩০২, ১২০ (খ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়। আঙুল ওঠে বিজেপির দুই মন্ত্রী চান্দর প্রকাশ গঙ্গা ও চৌধুরী লাল সিংহের বিরুদ্ধেও নিন্দার ঝড় ওঠে, তারা হিন্দু একতা মঞ্চের তরফে অভিযুক্তদের সমর্থনে পথেও নেমেছিলেন।
এদিন পাঠানকোটে সাত অভিযুক্তকে নিয়ে আসা হয় আঁটোসাটো নিরাপত্তার মধ্যে। ঘটনাস্থলে ছিল বোম্ব স্কোয়াড, ১০০০ পুলিশ কর্মী। আইনজীবী অঙ্কুর শর্মা দোষীদের বেকুসুর খালাস করে দেওয়ার জন্যে আর্জি জানান বিচারককে। সর্বশেষ পাওয়া খবরে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। এখনও রায়দান চলছে।
এ বিষয়ে অন্য খবর- খেলনাবাটি খেলতে খেলতে অন্ধকারে হারিয়েছে আলিগড়ের ছোট্ট মেয়েটি
গত বছর কাঠুয়ার ৮ বছরের ছোট্ট মেয়েটিকে চারদিন ধরে টানা মাদক খাইয়ে আচ্ছন্ন করে রাখা হয়। চলে লাগাতার ধর্ষণ। গোয়েন্দারা আসরে নামলে দোষীদের বাঁচাতে কাঠুয়ার আইনজীবীদের তৎপরতা হতবাক করে দেয় গোটা দেশকে। গত ৩ জুন অন ক্যামেরা শুনানির শেষে বিচারক তেজেন্দ্র সিংহ জানান কাঠুয়া কাণ্ডের রায়দান হবে ১০ জুন। ইতিমধ্যেই আলিগড়ে ঘটে গিয়েছে আরও একটি নারকীয় শিশু হত্যাকাণ্ড। এদিনও সংবাদমাধ্যমে আসিফার মা সুবিচার চেয়েছেন। হ্যাঁ, সুবিচারেরই আশায় চেয়ে রয়েছে গোটা দেশ।