চতুর্থবারের বিয়েতে বাধা অন্ধ-মূক সন্তান, ২৩ বছরের যুবতী মা নিলেন চরম পদক্ষেপ

চতুর্থ বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ২৩ বছরের যুবতি

তার জন্যই নাকি চার বছরের ছেলেকে জলে ডুবিয়ে মেরেছে সে

এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে ওই বিধবা মহিলার বিরুদ্ধে

পুলিশ ওই মহিলাকে আটক করলেও রহস্য এখনও রয়েই গিয়েছে

 

amartya lahiri | Published : Sep 27, 2020 1:18 PM IST

২৩ বছর বয়সেই চতুর্থ বিয়ে করতে চেয়েছিলেন পাটনার এক বিধবা যুবতি। আর তার জন্যই চার বছরের বিশেষভাবে সক্ষম ছেলেকে জলে ডুবিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। পাটনার হাসানপুর খান্দা এলাকার এই ঘটনায় বিস্মিত স্থানীয়করা। শাহজাহানপুর থানার পুলিশ মহিলাকে আটক করেছে।

জানা গিয়েছে অভিযুক্ত যুবতীর নাম ধর্মশীলা দেবী। নিহত শিশুটির নাম সজন কুমার। তার দৃষ্টিতে আংশিক প্রতিবন্ধকতা ছিল। সেইসঙ্গে সে কথাও বলতে পারত না। সজন ছিল ধর্মশীলা ও তার প্রথম স্বামী অরুণ চৌধুরীর সন্তান। বিয়ের এক বছর পরই নালন্দার ভাদৌলের বাসিন্দা অরুণকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল ধর্মশীলা। তবে, বিশেষভাবে সক্ষম সন্তান সজনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল সে।

এরপর, ধর্মশীলা আরও একজনকে বিবাহ করেছিল, কিন্তু, কয়েকদিন পরই তার মৃত্যু হয়। এরপর পাটনার মোস্তাফাপুরের বাসিন্দা মহেশ চৌধুরীকে বিয়ে করেছিল সে। মাস দুই আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় মহেশ-এরও। এরপর ধর্মশীলা আবার বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তাতেই সজন কোনওভাবে 'বাধা' হিসাবে দেখা দিয়েছিল, এমনটাই মনে করছে পুলিশ।

তৃতীয় স্বামীর মৃত্যুর পর ধর্মশীলা পাটনার বাহাদুরচক-এ তার বাপের বাড়িতেই ছিলেন। গত শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে গ্রামের পুকুড়ে গ্রামবাসীরা ওই নাবালকের নিথর দেহ ভাসতে দেখেছিল। তারাই পুলিশকে খবর দেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই ধর্মশীলাকে আটক করেছে পুলিশ। অন্য একজনকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন, তা মেনে নিয়েছে ধর্মশীলা দেবী, কিন্তু সন্তানকে হত্যার কথা সে এখনও অস্বীকার করে যাচ্ছে। পুলিশ এই বিষয়ে সজনের পিতা অরুণের জবানবন্দীও নথিভুক্ত করেছে।

এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। এর আগের দুইবার বিবাহের ক্ষেত্র সন্তান বাধা না দাঁড়ালেও এই বার তাকে কেন বাধা মনে করল ধর্মশীলা, সেই বিষয়টিও এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনায় অন্য কোনও রহস্য লুকিযে আছে কি না সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

 

Share this article
click me!