ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনাতেও ধর্মের তাস, ধিকৃত 'গর্বিত হিন্দু' অভিনেত্রী

  • হায়দরাবাদের গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সারা দেশ ব্যথিত, ক্ষুব্ধ
  • ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনায় ধর্মের তাস খেলতে গেলেন পায়েল রোহতাগি
  • তাতেই নেটিজেনরা তীব্র নিন্দার মুখে পড়লেন 'গর্বিত হিন্দু' এই অভিনেত্রী
  • দেশ সাফ জানিয়ে দিল ধর্ষকদের জাত-ধর্ম হয় না

amartya lahiri | Published : Dec 2, 2019 9:13 AM IST / Updated: Dec 02 2019, 03:59 PM IST

ঘোলা জল (ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনাও ঘোলাও নয়, জল একেবারে কালো)-এ মাছ ধরতে নেমে নিজের মুখই পোড়ালেন বলিউড অভিনেত্রী পায়েল রোহাতগি। সারা দেশ যখন হায়দরাবাদের ২৬ বছরের পশু চিকিৎসকের গণধর্ষণ ও হত্যায় ব্যথিত, ক্ষুব্ধ, তখন তিনি ধর্ষকদের ধর্ম বিচার করতে বসলেন। ধর্ষকদের হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ছড়াতে চাইলেন। তাঁর এই প্রয়াস অবশ্য সফল হয়নি। উল্টে নেটিজেনরা, তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন পায়েলের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন - নির্যাতিতার স্কুটারেই ফের ঘটনাস্থলে ফিরেছিল দুই ধর্ষক, প্রকাশিত আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজেকে গর্বিত হিন্দু বলে থাকেন পায়েল রোহাতগি। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজের একেবারে উপরেই সেই কথা লেখা দেখতে পাওয়া যায়। হায়দরাবাদের জঘন্য ঘটনা নিয়ে পায়েল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, লিবারালরা কি হায়দরাবাদের গণধর্ষণ ও হত্যার পরও ধর্ষককে ফাসি দাও বলে চিৎকার করবেন না? তাঁরা কি এখনও বলবেন, যদি আইন পাস হয় তবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিশানা করা হবে? এই লেখার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। যেখানে নির্যাতিতার ছবি দিয়ে, মহম্মদ পাশা ও তার গ্যাঙ তাঁকে গণধর্ষণ ও হত্যা করেছে বলে লেখা হয়েছে।

পায়েল রোহাতগির এই পোস্ট কিন্তু নেটিজেনরা একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি। ধর্ষণের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রঙ চড়িয়ে তিনি ঘৃণা ছড়াতে চাইছেন অভিযোগ করে তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। নেটিজেনরা পায়েলকে বলেছেন, শিবা, নবীন, কেশবদের কি ঘটনায় কোনও ভূমিকা ছিল না? নাকি পায়েল মনে করছেন, পরের চারজন নির্যাতিতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন? কেউ সরাসরি ধর্মের তাস খেলার অভিযোগ করেছেন পায়েলের বিরুদ্ধে। এমনকি পায়েল-কে 'আন্টিজি' সম্বোধন করে বলা হয়েছে, সব কথায় হিন্দু-মুসলিম করা বন্ধ করুন, আপনি ঘৃণায় ডুবে গিয়েছেন।  

দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের ঘা এখনও ভারতবাসীর মনে দগদগে হয়ে রয়েছে। তারমধ্যেই হায়দরাবাদের ঘটনায় সারা দেশে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। ভারতবাসীর মাথা লজ্জায় ঝুঁকে গিয়েছে। দেশ চাইছে যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এরসঙ্গে আরও একটা কথা কিন্তু পায়েল রোহাতগির এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, ধর্ষকদের কোনও জাত-ধর্ম হয় না, এটাই দেশের মত।  

Share this article
click me!