
Delhi Rain Alert: রবিবার ভোররাত থেকে প্রবল বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিল্লি সহ জাতীয় রাজধানী অঞ্চল (এনসিআর)। যদিও এই বৃষ্টি তীব্র গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে, তবে এর ফলে ব্যাপক জলজমাট এবং বিমান চলাচলে প্রভাব পড়ায় জনজীবন ব্যাহত হয়েছে।
দিল্লি এবং এনসিআর-এর বিভিন্ন রাস্তা ও আন্ডারপাসে জল জমে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে সকাল থেকেই। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবল ঝড় ও ভারী বৃষ্টির কারণে শতাধিক বিমান ওঠা-নামায় দেরি হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার রাত ১১:৩০ থেকে রবিবার ভোর ৪:০০-এর মধ্যে প্রায় ৪৯টি বিমান ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, রবিবার ভোররাত ২টো নাগাদ সফদরজং (বিমানবন্দর)-এলাকায় সর্বোচ্চ ৮২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (কিমি/ঘণ্টা) বাতাসের গতিবেগ ছিল। এরপরেই প্রগতি ময়দানে ৭৬ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে বাতাস বইছিল। দিল্লির নর্থ ক্যাম্পাসে অবস্থিত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বনিম্ন ৩৭ কিমি/ঘণ্টা বাতাসের গতিবেগ ছিল। এই প্রবল ঝড়ো হাওয়া রবিবার ভোররাতে দিল্লি ও এনসিআর জুড়ে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে।
দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে, আজও বিমান পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিমানবন্দর যাত্রীদের তাদের ফ্লাইটের অবস্থান জানতে এবং সর্বশেষ আপডেটের জন্য সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার আবেদন জানিয়েছে।
আজ ভোর পর্যন্ত দিল্লির বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল-
সফদরজং: ৮১ মিমি
পালম: ৬৮ মিমি
পূসা: ৭১ মিমি
ময়ূর বিহার: ৪৮ মিমি
এছাড়াও, শহরের আরও অনেক অংশে ৫ থেকে ৮ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আকস্মিক এই ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়ো হাওয়ায় স্বাভাবিক জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শনিবার রাতের প্রবল বৃষ্টির কারণে বিমানবন্দরগামী আন্ডারপাসে মারাত্মক জল জমেছে। এর ফলে ওই আন্ডারপাস দিয়ে বিমানবন্দর সংযোগকারী প্রধান সড়কে ব্যাপক জলজমাট দেখা যায়, যেখানে বহু যানবাহন আটকে পড়ে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকটি গাড়ি জলের তলায় ডুবে যাওয়ায় সেগুলির যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই অপ্রত্যাশিত জলবদ্ধতার কারণে নিত্যযাত্রীরা ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হন।
আইএমডি শনিবারই পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, দিল্লি এবং সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় এবং বৃষ্টি হবে। এই সময়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও জানানো হয়েছিল। বাস্তবে দেখা গিয়েছে যে, পূর্বাভাস অনুযায়ীই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চল রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।