
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পকিবার তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওর কুসংস্কার নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কখনই কাজ করতে পারে না। পাশাপাশি মোদী বলেন, তিনি ও তাঁর দলের সদস্যরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতেই বিশ্বাস করেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি টেনে আসেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও। মোদী বলেন আদিত্যনাথ একজন সাধু। কিন্তু তারপরেও তিনি আস্থা রাখেন বিজ্ঞানে। তিনি মোটেও কুসস্কারাচ্ছন্ন নন। আর আদিত্যনাথের এই মনোভাবের জন্য তিনি তাঁকে সর্বদা শুভেচ্ছা জানান বলেও জানিয়েছেন। তারপরই মোদী বলেন তিনি তেলাঙ্গনার মানুষকে অন্ধ-কুসংস্কারের হাতে থেকে বাঁচাতে চান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হায়দরাবাদ সফরেই এমনটা বলেছেন। তিনি শহরের ইন্ডিয়ান স্কুল অব বিজনেস-এর ২০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে মোদী যখন হায়দরাবাদে রয়েছেন তখনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তেলাঙ্গনা ছেড়ে চলে যান। কেসিআর এদিনই বেঙ্গালুরু উড়ে যান। তাঁর উদ্দেশ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া ও তাঁর ছেলে এইচডি কিমারাস্বামীর সঙ্গে তাঁদের দেখা করা। এদিনই তাঁদের বাসভবনে তিন জন আলোচনায় বসবেন বলে সূত্রের খবর।
তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই কেসিআরএর ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ ও ভাল বাস্তুর জন্য বাসস্থান পরিবর্তন করার খবর সামনে এসেছিল। বেশ কয়েকটি খবরে বলা হয়েছিল কেসিআর বাস্তু মেনে একটি ৫০ কোটি টাকার নতুন বাড়িতে চলেগেছেন। তাঁর অফিসও বাস্তু মেনে সাজান হয়েছিল। অফিস ও বাড়ি পরির্তনের আগে কেসিআর আয়ুথা মহাচণ্ডীর যজ্ঞও করেছিলেন বলে শোনা যায়। সেই অনুষ্ঠানে প্রায় ৭ কোটি টাকা প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে খাইয়েছিলেন। প্রায় ১৫০ জন বার্বুচি রান্নার কাজে যোগ দিয়েছিলেন।
এটাই প্রথম নয়। এর আগেও মোদী ও কেসিআর একে অপরকে আক্রমণ করেছেন। এদিয়ে আসছে তেলাঙ্গনা বিধানসভা নির্বাচন। কেসিআর মোদীর সম্পূর্ণ বিপরীত রাজনৈতিক মেরুতে অবস্থান করছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় রাজনৈতিতেও পা রাখার চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় মোদীও তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ। তেমনই মনে করেন তিনি। তাঁর আগেও একাধিকবার তিনি যেমন মোদীকে আক্রামণ করেছেন তেমনই পাল্টা মোদীও আক্রমণ করেছেন তাঁকে।