সুপ্রিম রায়ে পথ কুকুরদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো নিয়ে দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যেই এবার সামনে এলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি মন্তব্য। শুক্রবার দিল্লিতে বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পশুপ্রেমিদের এক হাত নেন তিনি। বিজ্ঞান ভবনে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় পশুপ্রেমীদের সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক সাক্ষাতের একটি মজার গল্প শোনান। সেখানে তিনি বলেন, ‘’গরুকে পশু বলে মনেই করেন না পশু প্রেমীদের একাংশ।''
25
পশুপ্রেমীদের একাংশকে কটাক্ষ নমোর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফে এদিন পশুপ্রেমীদের একাংশকে কটাক্ষ করা হয়। কারও নাম না করে তিনি বলেন, ‘’সম্প্রতি আমি পশুপ্রেমীদের সঙ্গে দেখা করেছি।'' যদিও নমোর এই মন্তব্য সভামঞ্চে হাসির রোল ওঠে। তখনই আবার প্রধানমন্ত্রী বলে ওঠেন, ‘’আপনারা হাসছেন কেন? এমন অনেক পশু প্রেমী আছেন যারা গরুকে প্রাণী বলেই মনে করেন না।''
35
মোদীর মন্তব্যে খোঁচা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যকে কিছু মানুষের পশুপ্রেমের 'নির্বাচিত' পদ্ধতির উপর একটি প্রচ্ছন্ন খোঁচা হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন দেশজুড়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশকে ঘিরে তীব্র জনরোষ তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির রাস্তা থেকে বেওয়ারিশ কুকুরদের নিরাপদ সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও আপাতত স্থগিত রয়েছে সেই নির্দেশ। আদালতের মতে, কুকুরের কামড় এবং জলাতঙ্ক রোগের ঘটনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই নির্দেশ জরুরি ছিল।
এই বিষয়ে পশু প্রেমী সংগঠনের কর্মীরা এবং তারকারা এই সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তাঁরা আশ্রয় কেন্দ্রে পশুদের দুর্ব্যবহারের সম্ভাবনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ব্যাপক প্রতিবাদের ফলে প্রধান বিচারপতি মামলাটি তিন বিচারপতির বেঞ্চে পাঠান। বর্তমানে স্থগিত রয়েছে এই নির্দেশ।
55
গরুর জন্য ভিন্ন ভিন্ন মানদণ্ড
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতে, পশুপ্রেমীরা কুকুর এবং গরুর জন্য ভিন্ন ভিন্ন মানদণ্ড ব্যবহার করে থাকেন। তিনি এই বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন যে, 'প্রাণী' শব্দটি শুধুমাত্র রাস্তার কুকুর বা পোষা কুকুরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়।