ভগবান বীরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিহারের জামুইতে আয়োজিত জনজাতীয় গৌরব দিবস অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আদিবাসী সমাজই রাজকুমার রামকে ভগবান রাম করেছেন। আদিবাসী সমাজই শত শত বছর ধরে ভারতের সংস্কৃতি এবং স্বাধীনতা রক্ষার জন্য লড়াই করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, গত বছর আজকের দিনে আমি ধরती আবা বীরসা মুন্ডার গ্রাম উলিহাতুতে ছিলাম। আজ আমি সেই ভূমিতে এসেছি যেখানে শহীদ তিলকা মাঝির শৌর্য দেখেছে। কিন্তু এবারের এই আয়োজন আরও বিশেষ। আজ থেকে সারা দেশে ভগবান বীরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকীর উৎসব শুরু হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানগুলি আগামী এক বছর ধরে চলবে। আজ দেশের শত শত জেলার প্রায় ১ কোটি মানুষ প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের এই অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরের দশকগুলিতে আদিবাসী ইতিহাসের অমূল্য অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। এর পিছনেও ছিল স্বার্থপর রাজনীতি। রাজনীতি ছিল এই যে, ভারতের স্বাধীনতার জন্য শুধুমাত্র একটি দলকে কৃতিত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু যদি একটি দল, একটি পরিবারই স্বাধীনতা এনে থাকে, তাহলে ভগবান বীরসা মুন্ডার উলগুলান আন্দোলন কেন হয়েছিল, সাঁওতাল বিদ্রোহ কি ছিল, কোল বিদ্রোহ কি ছিল?
সংস্কৃতি হোক বা সামাজিক ন্যায়বিচার, আজকের এনডিএ সরকারের মানক আলাদা। আমি এটিকে শুধু বিজেপি নয়, বরং এনডিএ-র সৌভাগ্য মনে করি যে, আমরা দ্রৌপদী মুর্মুকে দেশের রাষ্ট্রপতি করার সুযোগ পেয়েছি। তিনি দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি।
অতি পিছিয়ে পড়া আদিবাসী জনজাতির প্রতি আগের সরকারগুলির কোনও ভ্রূক্ষেপ ছিল না। তাদের জীবন থেকে সমস্যা কম করার জন্যই ২৪ হাজার কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী জনজাতি উন্নয়ন মিশন শুরু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনজাতির বসতির উন্নয়ন নিশ্চিত হচ্ছে। আজ এই প্রকল্পের এক বছর পূর্ণ হল। এই সময়ের মধ্যে আমরা অতি পিছিয়ে পড়া জনজাতির জন্য হাজার হাজার পাকা ঘর দিয়েছি। পিছিয়ে পড়া জনজাতির বসতিগুলিকে সংযুক্ত করার জন্য শত শত কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু হয়ে গেছে।