
চলমান শীতকালীন অধিবেশনে সমন্বয় শক্তিশালী করতে, ব্যস্ততা বাড়াতে এবং ফ্লোর স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১১ ডিসেম্বর সমস্ত এনডিএ সাংসদদের জন্য একটি বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করতে পারেন।
বিজেপির এক বরিষ্ঠ নেতার মতে, এই প্রস্তাবিত নৈশভোজের উদ্দেশ্য হল জোটসঙ্গীদের মধ্যে খোলামেলা এবং গঠনমূলক विचार বিনিময়ের জন্য একটি মঞ্চ তৈরি করা। আশা করা হচ্ছে, এটি প্রধানমন্ত্রীকে আইনী অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা, অধিবেশনের জন্য সরকারের বৃহত্তর কর্মসূচী পর্যালোচনা এবং এনডিএ-র সম্মিলিত রাজনৈতিক রোডম্যাপকে শক্তিশালী করার সুযোগ দেবে। এই বৈঠকে জোটের সমস্ত দলের সিনিয়র মন্ত্রী, ফ্লোর লিডার এবং সাংসদরা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু এবং আসামের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কৌশলও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। জোটসঙ্গীরা গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য নির্বাচনের আগে তাদের কৌশল আরও নিখুঁত করতে পারে। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি রাজ্যে তাদের সাংগঠনিক কার্যকলাপ আরও জোরদার করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০ ডিসেম্বর বাংলা সফরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে তিনি নদিয়া জেলায় একটি বড় জনসভায় ভাষণ দেবেন। এই সফরের সময়, তিনি বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে সাংগঠনিক প্রস্তুতি, প্রচারের মূল বার্তা এবং সামগ্রিক নির্বাচনী কৌশল পর্যালোচনা করার জন্য বৈঠক করতে পারেন। বিজেপি আগামী বছরের জানুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চার থেকে ছয়টি পরিবর্তন যাত্রা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই যাত্রাগুলির লক্ষ্য হবে তৃণমূল স্তরে জনসংযোগ বাড়ানো, ক্যাডারদের সমর্থন জোগাড় করা এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দলের তোলা বিষয়গুলিকে তুলে ধরা। প্রধানমন্ত্রীও এই কর্মসূচিগুলির মধ্যে একটিতে ভাষণ দিতে পারেন।
আসন্ন এনডিএ নৈশভোজে ভারতের নির্বাচন কমিশন দ্বারা একাধিক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) কর্মসূচীর মূল্যায়নও করা হতে পারে।
SIR-এর দ্বিতীয় পর্যায়ে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাট, কেরালা, লাক্ষাদ্বীপ, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬-এ প্রকাশিত হওয়ার কথা, যেখানে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই অনুশীলনের প্রথম পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। খসড়া ভোটার তালিকা ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে, এরপর ৮ জানুয়ারি, ২০২৬ পর্যন্ত দাবি ও আপত্তির সময় থাকবে। শুনানি এবং যাচাই প্রক্রিয়া ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬ পর্যন্ত চলবে, এবং চূড়ান্ত তালিকা ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬-এ প্রকাশিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।