রাহুল গান্ধী মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, মোদী বারবার বলেন কংগ্রেস তাঁকে ৯১বার গালি দিয়েছি। কিন্তু তাঁর প্রথমে বলা উচিৎ ছিল যে তিনি কর্ণাটকের দুর্নীতি রুখতে কী কী পদক্ষেপ করেছিলেন।
কর্ণাটকের দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীরব কেন? ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রতিটা ইঞ্জিন রাজ্যের ৪০ শতাংশ কমিশন থেকে কত পেয়েছে? এই দুই প্রশ্ন তুলে ভোট প্রচারের শেষ রবিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আক্রমণ করেন বিজেপিকে। পাশাপাশি তিনি আদানি ইস্যুতে আবারও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তিনি বলেন আদানি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীরও সাংসদ পদ বাতিল করা উচিৎ।
রাহুল গান্ধী ভোট প্রচারে বলেন, 'গত তিন বছর কর্ণাটকে বিজেপি সরকার রয়েছে। আর সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী এই রাজ্যের দুর্নীতি সম্পর্কে অবগত। প্রধানমন্ত্রী কর্ণাটক সরকারকে ডবল ইঞ্জিন সরকার বলছেন। কিন্তু এবার ডবল ইঞ্জিন সরকারও চুরি হয়ে গেছে।' এখানেই শেষ করেননি রাহুল গান্ধী তিনি বলেন মোদীজি দয়া করে কর্ণাটকের জনগণকে বলুন ৪০ শতাংশ কমিশনের মধ্যে কোন ইঞ্জিন কত শতাংশ পেয়েছে। তিনি আরও বলেন এই দুর্নীতি নিয়ে মোদী আগেও যেমন নীরব ছিলেন এখনও তেমন নীরবই রয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, কর্ণাটকের কন্ট্রাকটার অ্যাসোসিয়েশন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিল। কিন্তু সেই চিঠির কোনও উত্তর দেননি তিনি।
এদিন রাহুল গান্ধী কর্ণাটকের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও সরব হন। তিনি বলেন, পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর, সহকারী অধ্যাপক, সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগে এবং বিখ্যাত মহীশূর স্যান্ডেল সাবান প্রস্তুতকারী কর্ণাটক সোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্টস লিমিটেডে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। মহীশূর স্যান্ডেল কেলেঙ্কারিতে এক বিধায়কের ছেলে ৪ কোটি টাকা নগদসহ ধরা পড়েছিলেন। তিনি আরও বলেন এই রাজ্যের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এক বিজেপি বিধায়ক পর্যন্ত বলেছিলেন যে মাত্রা আড়াই কোটি টাকা দিলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদও কেনা যায়। তিনি বলেন রাজ্যের ৬ বছর বয়সী শিশুও জানে রাজ্যে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়।
এদিন কংগ্রেস নেতা মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, মোদী বারবার বলেন কংগ্রেস তাঁকে ৯১বার গালি দিয়েছি। কিন্তু তাঁর প্রথমে বলা উচিৎ ছিল যে তিনি কর্ণাটকের দুর্নীতি রুখতে কী কী পদক্ষেপ করেছিলেন। রাহুল গান্ধী আরও বলেন, সকলেই জানে কর্ণাটকে দুর্নীতি হয়েছে। আর তাতে ডবল ইঞ্জিন সরকারের জন্য দিল্লিও উপকৃত হয়েছে। সেই জন্য়ই মোদী চুপ করে রয়েছেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। গান্ধী অভিযোগ করেছেন যে তিনি সংসদে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী গৌতম আদানির সঙ্গে মোদীর সম্পর্কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যার পরে লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল।'আমি দুর্নীতির প্রশ্ন তুলেছিলাম এবং আমাকে সংসদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যারা দুর্নীতি করে তাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নেন না,' তিনি অভিযোগ করেন। কর্ণাটকে দাঁড়িয়ে মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুনঃ