'হিন্দু ভোট ভাগ করা কি ধর্মনিরপেক্ষতা', কানপুর থেকে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী মোদীর

উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের (UP Elections 2022) প্রচারে কানপুর দেহাতে (Kanpur Dehat) জনসভা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের ধর্মনিরপেক্ষতা (Secularism) নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission of India) ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানালেন তিনি। 
 

Web Desk - ANB | Published : Feb 14, 2022 8:07 AM IST

'এটাই কি ধর্মনিরপেক্ষতা (Secularism)?' সোমবার পশ্চিমবঙ্গের ৪ পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের (TMC) জয়জয়কারের মধ্য়েই, উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের (UP Elections 2022) প্রচারে কানপুর দেহাতে (Kanpur Dehat) জনসভা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। এর আগে গোয়ায় (Goa) এমজিবি (MGB) দলের সঙ্গে জোট গড়ার প্রসঙ্গে, তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছিল, 'হিন্দু ভোট ভাগ করা'র লক্ষ্য়েই এই জোট গড়েছে তারা। এই নিয়েই উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সভা থেকে খোঁচা মারলেন প্রধানমন্ত্রী। 

সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা দলের পক্ষে গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী মহুয়া মৈত্র (Mahua Maitra)। সেই সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, শাসক বিজেপিকে ধাক্কা দিতে বেশ কিছু কৌশল তৈরি করেছে দল। তার মধ্যে অন্যতম হল হিন্দু ভোট একজোট না হতে দেওয়া। আর এই লক্ষ্যেই আঞ্চলিক দল মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি বা এমজিপি (MGP)-র সঙ্গে জোট বেঁধেছে তৃণমূল। এই জোটের উদ্দেশ্যই হল হিন্দু ভোটের একত্রীকরণ রোধ করা। এর আগে, কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, অ-বিজেপি ভোট ভাগ করছে তৃণমূল। 

এদিন,  কানপুর গ্রামাঞ্চলের আকবরপুরের (Akbarpur) শাহজাদপুরে এক জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। কানপুর দেহাত এবং আশপাশের ১০ টি বিধানসভা আসনের প্রার্থীদের সমর্থনে এই সভা। সেই সভাতে বলতে গিয়েই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'এটাই কি ধর্মনিরপেক্ষতা?' তৃণমূল কংগ্রেসের 'সাম্প্রদায়িক রাজনীতি'র () বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নির্বাচন কমিশন'কে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও দাবি করেন, বিজেপি কখনই বিভেদমূলক রাজনীতি করতে চায় না। প্রসঙ্গত, এদিন উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের পাশাপাশি গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াও চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর এই আক্রমণ উত্তরপ্রদেশে দাঁড়িয়ে করা হলেও, লক্ষ্য ছিল গোয়া নির্বাচনই। 

কানপুরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী তীব্র আক্রমণ করেন সমাজবাদী পার্টিকেও। ২০১৭ সালের নির্বাচনে সপা জোট গড়েছিল কংগ্রেসের সঙ্গে। চলতি নির্বাচনে তাদের জোট রয়েছে রাষ্ট্রীয় লোকদল বা আরএলডির সঙ্গে। এই বিষয়টিকে আক্রমণ করে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, প্রত্যেক নির্বাচনে যারা নতুন নতুন জোট শরিকদের নিয়ে আসে এবং ভোচের পর সেই সঙ্গীদের লাথি মেরে বের করে দেয় - সেই দলগুলিকে কি আদৌ বিশ্বাস করা যায়? কানপুর দেহাতের ভোটারদের তিনি জিজ্ঞাসা করেন, 'আপনারা কি এই ধরনের দলগুলিকে সমর্থন করবেন? যারা নিজেদের জোট-শরিকদেরই সমর্থন করে না, তাদের কি বিশ্বাস করা যায়?'

Share this article
click me!