বিশ্বমঞ্চেও নরেন্দ্র মোদীর টার্গেটে চিন, নাম না করেই 'সাপ্লাই চেন' নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ

Published : Sep 29, 2020, 09:57 AM IST
বিশ্বমঞ্চেও নরেন্দ্র মোদীর টার্গেটে চিন, নাম না করেই 'সাপ্লাই চেন' নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ

সংক্ষিপ্ত

ভারত-ডেনমার্ক সামিটে চিন প্রসঙ্গ নাম না করে আবারও নিশানা  সাপ্লাই চেন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ অনন্তোষ প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদী   


 করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবারও নিশানা বানালেন চিনকে। তবে এবারও সরাসারি চিন বা বেজিং বা শি জিংপিং-এর নাম উচ্চারণ থেকে বিরত রাখলেন নিজেকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত-ডেনমার্ক সামিটে অংশ নিয়ে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে কোনও একটি নির্দিষ্ট দেশের সাপলাই চেনের ওপর ভরসা করা ঠিক নয়। যদি সেই পরিস্থিতি থেকে যায় তাহলে ঝুঁকি থাকে অনেকটাই বেশি থেকে যাবে আগামী দিনে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এই পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের শিল্পায়ানের দরজা খুলে দিয়ে বিশ্বের প্রথম সারির শিল্পগুলিকে ভারতে আসতে উৎসাহিত করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শিল্পক্ষেত্র চিন। আর করোনাভাইরাসের এই মহামারির পর চিনে লগ্নি করতে উৎসাহ হারাচ্ছেন বিশ্বের প্রথম সারির শিল্পপতিরা। আর মোদী সেই পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে দেশে শিল্পায়নের জোয়ার আনতে চাইছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অতিমারির এই পর্বে যেসব ব্যবসায়ী চিন ছাড়তে চাইছেন তাদের রীতিমত উৎসাহিত করছে মোদী সরকার। আর সেই কারণেই ইতিমধ্যে কমানো হয়েছে কর। যা এশিয়ার বাকি দেশগুলির তুলনায় অনেকটাই কম। গ্রহণ করা হয়েছে একাধিক প্রকল্পও। আর সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের ওপর জোর দিয়েছেন। বিদেশি লগ্নিকারীদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি দেশীয় লগ্নিকারীদের জন্যও খুলে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি দরজা। অন্যদিকে লাদাখ সীমান্তে চিনা অনুপ্রবেশের কারণে ভারত আর চিনের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশই বাড়ছে। বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কথায় যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর। নয়া দিল্লিও চিনা নির্ভরতা কমাতে টিকটক পাবজিসহ একাধিক অ্যাপ ব্যান করেছে। 

কিন্তু এর আগেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চিনের নাম না করেই চিনকে নিশানা করেছেন। এবারও সেই রাস্তাতেই হাঁটলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায় এদিন স্পষ্ট হয়ে যায় চিন থেকে সাপ্লাই চেন সরাতে মুখিয়ে রয়েছে ভারত। কারণ মোদী বলেন, ভারত জাপান আর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সাপ্লাই চেন পাল্টানোর জন্য কাজ করছে। অন্য যেসব দেশ রাজি তারাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন। লাদাখ উত্তাপের মাধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও একবার নাম না করেই চিনকে কড়া বার্তা দিলেন বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 

PREV
click me!

Recommended Stories

Today Live News: Share Market Today - সোমবারের বাজার প্রাথমিক লেনদেনে স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা! আজ নজরে রাখুন এই ৮ স্টক
জয়শঙ্করের সামরিক বাহিনী নিয়ে মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ পাকিস্তান, ভারতের বিরুদ্ধে বিবৃতি ইসলামাবাদের