প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, 'নারী শক্তি বন্দন অধিনয়ম একটি ঐতিহাসিক আইন যা নারীর ক্ষমতায়নকে আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং আমাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নারীদের আরও বেশি অংশগ্রহণ করতে সক্ষম করবে।'
মহিলা সংরক্ষণ বিল লোকসভায় পাশ হওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবকটি রাজনৈতিক দলের সাংসদদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, 'এমন অভূতপূর্ব সমর্থন সহ লোকসভায় সংবিধান (একশো আটাশতম সংশোধনী) বিল, ২০২৩ পাশ হওয়ায় আনন্দিত। আমি সমস্ত রাজনৈতিক দলের সাংসদদের ধন্যবাদ জানাই। যাঁরা এই বিলের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন।'
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেছেন, 'নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়াম একটি ঐতিহাসিক আইন যা নারীর ক্ষমতায়নকে আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং আমাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নারীদের আরও বেশি অংশগ্রহণ করতে সক্ষম করবে।'
টানা ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বিতর্কের পর বুধবার লোকসভায় পাশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল। প্রায় তিন দশক ধরে অমীমাংসিত বিলটি মঙ্গলবার পেশ করেছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিলটিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছিল। বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে পরবর্তী আদমশুমারি ও সীমাবদ্ধতা অনুশীলন পরিচালিত হওয়ার পরে সংরক্ষণ কার্যকর হবে। আগামী ১৫ বছরের জন্য তা কার্যকর থাকবে।
মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৫৪টি। বিপক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ২টি। নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়াম নামের বিলটি লোকসভায় পেশ করেছিলেন আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। তিনি সেই সময়ই বলেছিলেন সীমাবদ্ধ অনুশীলন সম্পন্ন হওয়ার পরেই এটি কার্যকর হবে। ২০২৪ সালের পরবর্তী লোকসভায় নির্বাচনের সময় এটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কম।
মঙ্গলবার বিল পেশ করার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন , দেশের সরকার উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় মহিলার অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে চায়। তবে আইনটি বাস্তবায়নে আরও কিছু সময় লাগবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে তিনি গতকালই জানিয়ে দিয়েছিলেন বিলটি ২০২৪ সালের লোকসফভা নির্বাচনে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি সহ একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল মহিলা সংরক্ষণ বিলকে সমর্থন করেলও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে। বিরোধীদের দাবি এই বিল দেখিয়ে লোকসভা ভোটে মহিলাদের ভোট টানার চেষ্টা করছে বিজেপি। মহিলাদের বোকা বানাতেই লোকসভা ভোটের আগে এই বিল পেশ করা হয়েছে।