প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুটরাটের আনন্দে আগামী ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ কৃষকদের সঙ্গে কথা বললেন।
প্রাকৃতিক চাষাবাদের (natural farming ) ওপর আলোকপাত করতে ও কৃষকদের সুবিধে অসুবিধে নিয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৬ ডিসেম্বর কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের জাতীয় শীর্ষ সম্মেলনে কৃষকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্যই হল কৃষকদের কল্যাণ ও তাদের আয় বাড়ানো।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুটরাটের আনন্দে আগামী ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ কৃষকদের সঙ্গে কথা বললেন। প্রাকৃতিক চাষ নিয়ে আলোচনা হবে এই সম্মেলনে। সেখান কৃষকরা যেমন তাঁদের সুবিধে অসুবিধের কথা জানাতে পারবেন তেমনই তাঁদেরও প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরহা করা হবে।
কৃষক কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিঙ্গির সঙ্গে তাল মিলিয়েই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এজাতীয় সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্যই হল কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো। উৎপাদন বাড়াতে তাঁদের সবরকম সহযোগিতা করা। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের আয় বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি কৃষকদের প্রযুক্তি ব্যবহার, চাষের খরত কমানোর দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা কী করে বাজারে প্রবেশ করতে সেদিকেও আলোকপাত করবে এজাতীয় সম্মেলন। কৃষকদের আরও বেশি লাভবান কী করে করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হবে এই সভায়।
জিরো বাজেটে ন্যাচার ফার্মিং একটি প্রতিশ্রুতিশীল হাতিয়ার। যা আগামি দিনে বিশেষ জনপ্রিয়াতা লাভ করতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই জাতীয় চাষ সম্পর্কেত নানাবিধ তথ্য তুলে দেওয়াই এই সম্মেলনের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য। বিশেষজ্ঞদের মত এজাতীয় ব্যবস্থা কৃষকদের প্রযুক্তি নির্ভরতা কমিয়ে দেবে, চাষের খরচ কমিয়ে দেবে, পাশাপাশি মাটিরও উন্নিত করবে। দেশি গরুর গোবর, মূত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এজাতীয় চাষে। মাটিকে মালচিং করা ও সারাবছর মাটিকে সবুজ আবরণে ঢেকে রাখার প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়। এজাতীয় চাষ জলের খরচ অনেকটাই কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি বছরের প্রথম থেকেই ফসলের উৎপাদন কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাবে।
এই জাতীয় কৌশলগুলির ওপর জোর দিতে ও গোটা দেশের কৃষকদের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য গুজরাট সরকার প্রাকৃতিক চাষের ওপর জোর দিয়ে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে জাতীয় শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করেছে। ১৪ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে এই সম্মেলন। চলবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিন দিনের অনুষ্ঠানের শেষ দিনেই ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠামে ৫০০ জনেরও বেশি কৃষক অংশ গ্রহণ করছেন।