ইউরোপ সফর সেরে ফিরেই দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। একদিকে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি, অন্যদিকে, আসন্ন বর্ষা ঋতুতে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে একটি সার্বিক পর্যালোচনা বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।
গোটা ভারত জ্বলছে প্রবল তাপে। দেশের বিভিন্ন অংশে চলছে তাপপ্রবাহ, সেই সঙ্গে তাপমাত্রার পারদ ছাড়িয়েছে ৪৬ ডিগ্রি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুব একটা সুখকর নয়। এই অবস্থায় সময় নষ্ট করতে একেবারেই রাজি নন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইউরোপ সফর সেরে ফিরেই দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। একদিকে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি, অন্যদিকে, আসন্ন বর্ষা ঋতুতে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে একটি সার্বিক পর্যালোচনা বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সবমিলিয়ে মোট সাত থেকে আটটি বৈঠক করবেন মোদী বলে জানানো হয়েছে। দেশে ফিরেই সময় নষ্ট না করে মোদী বৈঠক করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর।এমনিতেই মে মাসে এপ্রিলের তুলনায় গরম বেশি পড়ে। পরিস্থিতিও সেদিকেই যাচ্ছে। গোটা দেশ জুড়ে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সুস্থ থাকতে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। কীভাবে এই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখা যায়, তার কিছু প্রয়োজনীয় বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে ও মানুষকে তা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য এই নির্দেশিকা জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ সম্প্রতি রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবকে এক চিঠিতে জানান অতিরিক্ত তাপে মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। পানীয় জলের সহজলভ্যতার ব্যবস্থা করতে হবে। শহর ও গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আই ভি ফ্লুইড, আইস প্যাক, ওআরএস পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, পূর্বভারতের জন্য সুখবর রয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আন্দাজ করেছেন, '১০ মে নাগাদ উড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণঝড়। তবে কোনপথে এগোবে এই ঘূর্ণিঝড়, তার এখনও কোনও পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। শনিবার থেকেই এই বিষয়ে ষ্পষ্ট কের কিছু বলা সম্ভব হবে বলে অনুমান তাঁদের। এই প্রসঙ্গে আইএমডি-র এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ৬ মে নিম্নচাপ তৈরি হবে। এরপর তা শক্তি সঞ্চয় করে আরও ঘণীভূত হবে। দক্ষিণ আন্দামান এবং বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। ওই একায় মৎসজীবীদের মূলত না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কেন না আবহাওয়ার অনেক বদল ঘটবে।'