প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমরা আজ তাদের সকলের সাহস ও প্রচেষ্টাকে স্মরণ করি যারা স্বাধীন ভারতের পতাকার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁদের হাত ধরেই ভারত ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। আমরা তাদের স্বপ্ন পূরণ এবং তাদের স্বপ্নের ভারত গড়তে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করে তুলব।"
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩ই অগাস্ট থেকে ১৫ই অগাস্টের মধ্যে প্রত্যেক ভারতীয়ের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার ডাক দিয়েছেন। দেশ জুড়ে যাতে 'হর ঘর তিরঙ্গা' অভিযানকে শক্তিশালী করে তোলা যায়, তার আহ্বান জানিয়েছেন। সাধারণ ভারতবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আবেদন জাতীয় পতাকা সম্মান বজায় রেখে স্বাধীনতার উৎসবে যোগ দেওয়া হোক। মোদী একটি টুইটের মাধ্যমে বলেছেন যে এই প্রচার তেরঙ্গার সাথে আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে তেরঙা জাতীয় পতাকা হিসাবে গৃহীত হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ২২শে জুলাই।
প্রতিটি ঘরে ঘরে তেরঙ্গা উত্তোলনের আবেদন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমরা আজ তাদের সকলের সাহস ও প্রচেষ্টাকে স্মরণ করি যারা স্বাধীন ভারতের পতাকার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁদের হাত ধরেই ভারত ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। আমরা তাদের স্বপ্ন পূরণ এবং তাদের স্বপ্নের ভারত গড়তে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করে তুলব।"
'আজাদি কা অমৃত' উৎসব
মোদী বলেন "আমরা 'আজাদি কা অমৃত' উৎসব উদযাপন করছি, আসুন আমরা 'হর ঘর তিরঙ্গা' আন্দোলনকে শক্তিশালী করি। ১৩ই আগস্ট থেকে ১৫ই অগস্ট পর্যন্ত, আপনার বাড়িতে তেরঙ্গা উত্তোলন করুন বা প্রদর্শন করুন। এই প্রচার জাতীয় পতাকার সাথে আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। জাতীয় পতাকা হিসাবে তেরঙ্গা গ্রহণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের বিশদ বিবরণও মোদি টুইটারে ভাগ করেছেন। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর তোলা প্রথম তেরঙার ছবিও তিনি টুইট করেছেন। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকীতে 'হর ঘর তিরাঙ্গা' অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
পোস্ট অফিসে তেরঙা পাওয়া যাবে
প্রচারকে সফল করতে কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, তিন ধরণের পতাকা তৈরির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সেগুলি পোস্ট অফিসে পাওয়া যাবে, এর পাশাপাশি লোকেরা অনলাইনেও তেরঙ্গা কিনতে পারবে।
কবে প্রতিটি বাড়িতে তেরঙা প্রচার পালিত হবে?
কেন্দ্রীয় সরকারের হর ঘর তেরঙা প্রচারাভিযানের অধীনে, আগামী মাসে তিন দিনের জন্য সারা দেশে ২০ কোটিরও বেশি বাড়িতে তেরঙ্গা উত্তোলন করা হবে। একটি সরকারী বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে কর্মসূচির অধীনে, ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট জনগণের অংশগ্রহণে বাড়ির উপরে তেরঙ্গা উত্তোলন করা হবে এবং সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলিও এতে অংশ নেবে।