মোরবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি

 

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এদিন ব্রিজ দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ জনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। তবে এদিন মোরবি পৌঁছেই প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই কথা বলেন দুর্ঘটনার দিনে উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে।

Saborni Mitra | Published : Nov 1, 2022 12:55 PM IST / Updated: Nov 01 2022, 09:31 PM IST

পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মোরবি যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সেতু দুর্ঘটনার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ব্রিজ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের কথা বলেন। মঙ্গলবার মোরবি সফরের সময়ই তিনি মোরবি সিভিল হাসপাতালে যান। সেখানে ব্রিজ দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে কথা বলেন। দেখা করেন নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এদিন ব্রিজ দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ জনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। তবে এদিন মোরবি পৌঁছেই প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই কথা বলেন দুর্ঘটনার দিনে উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে। মোবরির মাচ্ছু নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতুটি ভেঙে পড়েছিল গত রবিবার সন্ধ্যেবেলা। রাতের অন্ধকারেই উদ্ধাকারী দলের সদস্যরা রীতিমত তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু করেছিলেন। সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁদের কাজের প্রশংসা করেন।

এদিন মোরবিতে দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। সেখানে দুর্ভাগ্যজনক সেতু দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কথা বলতে হবে। যোগাযোগ রাখতে হবে। এই খারাপ পরিস্থিতিতে তাদের সব রকম সহযোগিতা দিতে হবে বলেও প্রসাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন উদ্ধার আর ত্রানকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী সেতু দুর্ঘটনার একটি সঠিক তদন্ত করার কথাও বলেছেন। দুর্ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তা চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী হর্ষ সাংঘভি, গুজরাট সরকারের মন্ত্রী শ্রী ব্রিজেশ মের্জা, গুজরাটের মুখ্যসচিব, রাজ্যের ডিজিপি, স্থানীয় কালেক্টর, এসপি, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিধায়ক ও সাংসদ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।

ঠাকুমার মৃত্যুতে গান বাজিয়ে তুমুল নাচ নাতি আর প্রতিবেশীদের, 'শেষ ইচ্ছেয়' শ্মশান জুড়ে আনন্দের আবহ

লকডাউনের চিনে প্রতিবাদের সুর বাপ্পি লাহিডীর গানে, বাজছে 'জিমি জিমি আজা আজা'

'ব্রিজ দুর্ঘটনা কি গুজরাটের মানুষকে চেতনা দিল?', প্রশ্ন করলেন তৃণমূলের রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়

 

মোবরি প্রশাসন সূত্রের খবর সোমবার দিনভর উদ্ধারকাজ চলার পর এখনও পর্যন্ত ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছে। যেসময় ঝুলন্ত সেতুটি ভেঙে পড়ে সেই সময় সেখানে ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষ ছিল। অত্যাধিক ভার সহ্য করতে না পেরেই ব্রিজটি ভেঙে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি মেরামতির পর নির্ধারিত সময়ের আগেই সেটি জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেতুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে ফিটসার্টিফিকেট ছাড়াই খুলে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর সেই কারণে ঠিকাদার সংস্থার দিকেই অভিযোগে আঙুল উঠেছে।

মোরবি পুরসভার অভিযোগ সেতুটি উদ্বোধনের আগে সংস্থার পক্ষ থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এনমকি সেতুটির জন্য কোনও ফিটসার্টিফিকেটও দেয়নি পুরসভা। তারপরেও কী করে সেতুটি জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ মোরবি পুরসভা জানিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা নিজেদের উদ্যোগে সেতু জনগণের জন্য খুলে দিয়েছিল। মোরবি পুরসভা সূত্রের খবর সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১৫ বছরের জন্য মোরবি পুরসভা আর অজন্ত নামের একটি বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। অজন্তা সংস্থাটি ওরেভা গ্রুপের অংশ। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২০৩৭ সাল পর্যন্ত শতাব্দী প্রাচীন সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেতুটি মেরামতির জন্য দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ ছিল। ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষের কারণে সেতুটি খুলে দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের আগেই সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। কারণ সেতুটি ৮-১২ মাস বন্ধ রাখার কথা ছিল।

Share this article
click me!