সংক্ষিপ্ত
১২২ বছরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলনে মালদার বেলকা মণ্ডলের। দুটি মহামারি, দেশভাগের সাক্ষী তিনি। কিন্তু তাঁরই নির্দেশ ছিল জীবন উপভোগ করছেন। তাই মৃত্যুর পরেই আনন্দের আবহ রেখে যেতে চান।
এই মৃত্যু কোনও দুঃখ বা শোকের , এই মৃত্যু আনন্দের। অনেকটা তেমনই দাবি শতায়ু সম্পন্ন করা এক বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যরা। আর সেই কারণে শতায়ু সম্পন্ন করা এক বৃদ্ধার শেষযাত্রায় । রীতিমত ব্যান্ডপার্টি , ডিজে বাজিয়ে বৃদ্ধার দেহ নিয়ে যাওয়া হল শ্মশানে।
১০০ বছর পার করেছিলেন অনেক দিন আগে৷ তার পরেও কেটে গিয়েছিল দু' দশকের বেশি সময়৷ শেষ পর্যন্ত ১২২ বছরে মৃত্যু হল মালদহের বাসিন্দা বেলকা মণ্ডলের৷ জরা জীর্ণ শরীর। গোটা শরীর জুড়েই বার্ধক্যের ছাপ স্পষ্ট। পরিবারের সদস্যদের কথায় বার্ধক্যজনিত রোগে দীর্ধ দিন ধরেই প্রায় শয্য়াসায়ী তিনি। তবে কথাবার্তা বলতেন। দিনের অধিকাংশ সময় শুয়ে শুয়েই থাকতেন। পরিবারের সদস্যদের কাছে জানিয়েছিলেন তিনি আর আর কোনও আক্ষেপ নেই। মৃত্যুর প্রতীক্ষায় দিন গুণছেন তিনি। মৃতার পরিবারের সদস্যদের কথায়, তবে শোক নয়, বেলকাদেবীর শেষ যাত্রাকে তাঁরই নির্দেশে স্মরণীয় করে রাখলেন এলাকার বাসিন্দারা৷
বেলকাদেবীর পরিজনরা অবশ্য বলছেন, তিনি নিজেই চাইতেন না তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে শোকে ডুবে যান প্রিয়জনরা৷ বেলকাদেবীর শেষ ইচ্ছেকে সম্মান দিয়েই ব্যান্ড পার্টি ডেকে জাঁকজমক করে হল তাঁর শেষ যাত্রা৷ কান্নাকাটি দুরস্ত্, বরং দেখা গেল উৎসবের আমেজ। হইচই, নাচানাচি করতে করতে শতায়ুর শেষ যাত্রায় মাতল গ্রামবাসী। যেন বেলকাদেবীর দীর্ঘ জীবনকেই উদযাপন করলেন তাঁর আত্মীয় এবং এলাকার বাসিন্দারা৷
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯০০ সালের ডিসেম্বর মাসে বর্তমান বাংলাদেশের যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন বেলকা মণ্ডল। ইংরেজ শাসন, দুটি মহামারি, দেশের স্বাধীনতার সাক্ষী থাকার পর আবার চোখের পাতা ভিজেছে দেশ ভাগের যন্ত্রণায়। স্বাধীনতার পর স্বামীর সঙ্গে ওপার বাংলা থেকে এসে ঘর বাঁধেন এপার বাংলায় মালদহের গাজোল ব্লকের রাণীগঞ্জ ২ পঞ্চায়েতের করচাডাঙ্গা এলাকায়। একে একে সংসার বাড়ে। আট ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘদিন বসবাস গাজোলে। স্বামী সুবল মণ্ডল বছর ত্রিশেক আগেই মারা যান। আরও নিঃসঙ্গ হন একে একে পাঁচ ছেলের মৃত্যুতে। তবে, এর পরেও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সংসারে হাসিখুশিতেই ছিলেন বেলকা মণ্ডল। গত বিধানসভাতেও নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তিনি। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে গল্পের ছলে বলতেন, ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা আর দেশভাগের গল্প। বলতেন, যাওয়ার সময় এগিয়ে আসছে। পরিবারের সদস্যদের ডেকে বলে দিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুতে যেন কোনওরকম শোকের আবহ তৈরি না হয়। বরং হাসিমুখে শেষ বিদায়ের কথাই বারবার বলতেন তিনি।
বন্দি দশায় ১০০ দিন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, আপাতত এই মাসও থাকতে হবে জেলে
খড়গপুর আইআইটির ছাত্রের রহস্যমৃত্যু কি ব়্যাগিং-এর কারণে, আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তদন্তের দাবি পরিবারের