এতদিনে মুখে বিহারের কথা! কী বললেন প্রধানমন্ত্রী শত শিশুর মৃত্য়ু নিয়ে

  • বিহারে শিশু মৃত্যু কার্যত মহামারির আকার নিয়েছে
  • বলতে গেলে এনকেফেলাইটিস বিহারের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে
  • ১৪০ এর বেশি শিশু মারা গিয়েছে এই সংক্রমণে 
  • বুধবার রাজ্যসভায় এই নিয়ে মুখ খুললেন মোদী 

arka deb | Published : Jun 26, 2019 10:08 AM IST / Updated: Jun 26 2019, 04:00 PM IST


মহামারি বললেও কম বলা হবে। এনকেফেলাইটিস বিহারের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে। ১৪০ এর বেশি শিশু মারা গিয়েছে এই সংক্রমণে। কেউ বলেছেন লিচু থেকে ছড়িয়েছে সংক্রমণ, কেউ বলেছেন অনাহার আর অপুষ্টিই কেড়ে নিয়েছে মুজফফরপুরের শিশুদের প্রাণ। পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে গিয়ে মানুষের তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। ভাইরাল হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আপতকালীন স্বাস্থ্য বৈঠকে বিশ্বকাপের স্কোর জানতে চাওয়ার ভিডিও। শুধু শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর কোনও বক্তব্য। এবার মুখ খুললেন তিনি। 
 
বুধবার প্রধানমন্ত্রী রাজ্যসভায় জবাবী ভাষণে বলেন, 'বিহারের শিশুমৃত্যু নিয়েও কথা হয়েছে। আমরা লজ্জিত। আমাদের ব্যর্থতা, আমরা শিশুর জন্যে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারিনি। কয়েক দশক ধরেই তো এই ঘটনা চলছে তো।'

এর পরেই নিজের প্রশাসনের তারিফ করে বলেন, 'আমরা সুরক্ষিত মাতৃত্ব, টীকাকরণ ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করছি। সবাই মিলে কাজ করলেই একমাত্র এই সঙ্কট দূর করা যাবে।'

প্রধানমন্ত্রীর দাবি, গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ খবর নেওয়ার জন্যে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কৈফিয়ত সকলে শুনলেন। কিন্তু প্রশ্ন রয়েই গেল, এতদিন কিছুই কেন বলেননি প্রধানমন্ত্রী?

শিশুদের এই রোগের দায়ই নিতে চায়নি বিহার সরকার। তাঁদের দাবি ছিল, দেহে শর্করা আচমকা কমে যাওয়ায় শিশুরা মারা যাচ্ছে। আসলে তাপপ্রবহে মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি মিলিয়ে দিতে চাইছিল প্রশাসন। তারপর রীতিমতো চাপে পড়ে প্রশাসন দায় নিতে বাধ্য হয়। অতীতেও এমন মহামারি হয়েছে বিহারে। ২০১১ ও ২০১৫ সালে উঠে এসেছেিল লিচু তত্ত্ব। বলা হয় লিচুর মধ্যে থাকা কোনও বিষাক্ত পোকা থেকেই সংক্রমণ হয় ছোটদের। এবার এই মৃত্য়ু নিয়ে কোনও কারণ এ যাবৎ দর্শাতে পারেনি প্রশাসন। স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রককে নোটিশ দিয়েছে বিহারের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে। বিহার প্রশাসনকে অবস্থা মোকাবিলায় ব্যর্থ বলেছে মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু প্ৰধামন্ত্রী নীরবতাই পালন করে গিয়েছেন দুই সপ্তাহের বেশি সময়। 

Share this article
click me!