বৃহস্পতিবার ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। থাকবেন ব্রিকসভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধান।
আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩তম ব্রিকস (BRICS) শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবেন। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি বোরসোনারো, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং আর দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসা। আফগানিস্তানের তালিবানদের সরকার গঠনের প্রেক্ষাপটে ব্রিকস সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেশজ্ঞরা।
এই বৈঠকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, নিউ ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট মার্কোস ট্রয়েজো আর ব্রিকস বিজনেস কাউন্সের পক্ষ থেকে ওঙ্কার কানোয়ার আর ব্রকস মহিলা বিজনেস অ্যালায়েন্সের অস্থায়ী চেয়ারম্যান সঙ্গীতা রেড্ডি উপস্থিত থাকবেন।
আফগানিস্তানে তালিবান সরকারকে টক্কর, সমান্তরাল সরকার গঠনের পথে পঞ্জশিরের নেতা মাসুদ
দিল্লিতে CIA প্রধানের সঙ্গে বৈঠক অজিত ডোভালের, আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা
৬ নাবালিকাকে নগ্ন করে ঘোরানো হল গোটা গ্রামে, কেন এই শতাব্দী প্রাচীন প্রথা আজও বর্তমান
ব্রিকস সম্মেলনের মূল বিষয় হল ব্রিকসভুক্তদেশগুলির মধ্যে ঐক্যমত্য ও অভ্যন্তরীন সহযোগিতা বজায় রাখায়। পাশাপাশি ব্রিকসভুক্ত দেশগুলির মধ্যে ধারাবাহিক আলোচনা বজায় রাখা। তবে ভারত যে চারটি রূপরেখা দিয়েছে সেগুলি হল, বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার সংস্কার, সন্ত্রাস দমন, এসডিজি অর্জনের জন্য ডিজিটাল ও প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ব্যবহার করা। পাশাপাশি দেশগুলির মধ্যে আলোচনা আর পর্যালোচনা আরও বাড়ানো। করোনাভাইরাসের এই মহামারির প্রভাব ও অন্যান্য বিষয়েগুলি নিয়ে আলোচনায় ওপরেও জোর দিয়েছে ভারত। একই সঙ্গে আঞ্চলিক সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রেও মতবিনিময়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবেন। এর আগে তিনি ২০১৬ সালে গোয়া শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেছিলেন। চলতি বছর ব্রিকসের ভারতীয় চেয়ারসিপ ব্রিকসের পঞ্চবার্ষিকীর সঙ্গে মিশে যাচ্ছে, যা সম্মেলনের একটি বিশেষ দিক।