
গত ২২ এপ্রিল জম্মু কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। থমথমে জম্মু কাশ্মীর। জঙ্গি দমনে অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার জম্মু কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সরকারি সূত্রে খবর, চলতি মাসের ৬ জুন নাগাদ জম্মু কাশ্মীরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর এই সফরে রয়েছে একগুচ্ছ কর্মসুচি। এর আগে ১৯ এপ্রিল কাশ্মীর সফরে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু নিরাপত্তা ইস্যুতে সেই সফর বাতিল হয়ে যায়। আর তার দুদিন পরই ঘটে পহেলগাঁও পর্যটকদের উপর নৃশংস হত্য়াকাণ্ডের ঘটনা।
পিএমও দফতর সূত্রে খবর, দেশের বাকি অংশের সঙ্গে বন্দেভারত ট্রেনতে সংযুক্ত করতে জম্মু কাশ্মীরের কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত বন্দেভারত ট্রেনের উদ্বোধন করবেন তিনি।
পহেলগাঁওয়ে হামলার পর থেকেই পর্যটকরা মুখ ঘুরিয়েছেন ভূস্বর্গ থেকে। এই অবস্থায় এই নতুন রেল সংযোগ কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাহাড়ি ও দুর্গম অঞ্চলের মধ্য দিয়ে এই রেললাইন তৈরি করা হয়েছে, যা ভারতীয় রেলের প্রকৌশলগত এক অসাধারণ কীর্তি। এর ফলে পর্যটন এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
জম্মুর কাটরা, যা বৈষ্ণোদেবী তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, এখন সরাসরি শ্রীনগরের সঙ্গে যুক্ত হবে। এটি কেবল যাত্রী পরিবহনই নয়, পণ্য পরিবহনেও সহায়ক হবে, যার ফলে কাশ্মীরের আপেল, ড্রাই ফ্রুটস এবং হস্তশিল্পের মতো পণ্য দেশের অন্যান্য স্থানে সহজে পৌঁছাতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার, ৬ জুন, জম্মুর কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত দুটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই উদ্বোধনের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে রেলপথে যুক্ত করার ৪২ বছরের প্রতীক্ষিত প্রকল্পটি অবশেষে সম্পূর্ণ হতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার, ৬ জুন, জম্মুর কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত দুটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই উদ্বোধনের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে রেলপথে যুক্ত করার ৪২ বছরের প্রতীক্ষিত প্রকল্পটি অবশেষে সম্পূর্ণ হতে চলেছে।
এই বন্দে ভারত ট্রেনের মাধ্যমে কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পে নতুন গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, এটি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি, এটি দেশের বাকি অংশের সঙ্গে কাশ্মীরের সংযোগ আরও দৃঢ় করবে।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিকূল আবহাওয়া এবং শীতল তাপমাত্রা মোকাবিলায় সক্ষম করে তৈরি করা হয়েছে কাটরা থেকে শ্রীনগরগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন। এই ট্রেনটিতে যুক্ত করা হয়েছে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য, যা এটিকে মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও মসৃণভাবে চলতে সাহায্য করবে।
সাধারণ বন্দে ভারত ট্রেনের তুলনায় এই বিশেষ সংস্করণটিতে ঠাণ্ডা আবহাওয়ার জন্য অতিরিক্ত সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা রয়েছে। চালকের কেবিনে উষ্ণ উইন্ডশিল্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে কুয়াশা বা বরফ জমে দৃষ্টিশক্তি ব্যাহত না হয়। এছাড়াও, ট্রেনের পাইপলাইন এবং বায়ো-টয়লেটে হিটিং এলিমেন্ট (heating elements) যুক্ত করা হয়েছে যাতে জল জমে না যায় এবং জরুরি পরিষেবাগুলি সচল থাকে।