পণের দাবিতে বধূ নির্যাতন, ছ' বছরের শিশুর বিরুদ্ধে মামলা রুজু পুলিশের

  • অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের ঘটনা
  • শিশুদের বিরুদ্ধে পণ নেওয়ার অভিযোগে মামলা পুলিশের
  • পাল্টা আদালতে গেলেন অভিযুক্ত স্বামী

debamoy ghosh | Published : Oct 30, 2019 10:49 AM IST

পণের জন্য বধূ নির্যাতনের মামলায় চার নাবালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছে ছ' বছরের একটি শিশুকন্যা। বাকি তিনজনের মধ্যে দু' জ ন বালকের বয়স এগারো বছর, অন্যজন ন' বছরের একটি বালিকা। 

এমনই কাণ্ড ঘটেছে বিজয়ওয়াড়ার গুন্টুরে। সম্প্রতি পোন্নেকান্তি বিন্দু নামে ছাব্বিশ বছরের এক তরুণী পুলিশে নিজের স্বামী আদরানা কুমার এবং তাঁর পরিবারের চার নাবালকের বিরুদ্ধে পণ নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। 

পুলিশি হয়রানির অভিযোগে পাল্টা অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেছেন অভিযুক্ত আদরানা কুমার। পণ নেওয়ার অভিযোগ খারিজ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ওই ব্যক্তির অভিযুক্ত, অভিযোগের সত্যতা যাচাই না করেই পুলিশ পণ নেওয়ার মামলা দায়ের করেছে। এমন কী, নাবালকদের অভিযুক্ত হিসেবে দেখানোর জন্য যে পদ্ধতি মানা প্রয়োজন, তাও মানা হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও  এখনও হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শুরু হয়নি। 

অভিযোগকারিণীর দাবি, আদরানার সঙ্গে ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর বিয়ে হয় তাঁর। বিয়েতে তাঁর বাবা মা পণ হিসেবে ছয় গ্রাম সোনা এবং নগদ ৪৪, ৬৬৩ টাকা দিয়েছিলেন। সোনা এবং নগদ মিলিয়ে মোট নগদের পরিমাণ ছিল তিন লক্ষ টাকার মতো। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর চার ননদ তাঁকে হেনস্থা করতে শুরু করে। 

ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁর ননদের স্বামীরা তাঁকে গালিগালাজ করতেন। ননদের সন্তানরাও তাঁকে নানাভাবে হয়রান করতেন বলে অভিযোগ ওই তরুণীর। এমন কী, তাঁর মোবাই ফোনটিও তাঁর থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোহ বিন্দুর। তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর করে খুনের হুমকিও দিতেন বলে অভিযোগ বিন্দুর। 

এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই গুন্টুরের মহিলা পুলিশ স্টেশন সেপ্টেম্বরের ২৬ তারিখে একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশের এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করেই আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী আদরানা কুমার। 

Share this article
click me!