দলীয় বিধায়কের জন্যই করাতে হল গর্ভপাত, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি কাউন্সিলর

বিজেপি বিধায়ক তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিলেন

তার একমাসের মধ্যেই করাতে হয়েছে গর্ভপাত

এমনই অভিযোগ করেছেন এক বিজেপি কাউন্সিলর

কিন্তু কেন দলেরই বিধায়ক ধাক্কা মারলেন কাউন্সিলরক

Asianet News Bangla | Published : Dec 2, 2020 10:56 AM IST

বিজেপি বিধায়ক তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিলেন। তারপরই তাঁকে গর্ভপাত করাতে হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ করেছেন চাঁদনী নায়েক নামে কর্ণাটকের এক মহিলা কাউন্সিলর। তিনিও বিজেপি-রই সদস্য। গত ৮ নভেম্বর কর্নাটকের বাগলকোটে পুরসভার নির্বাচনের সময় ওই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন চাঁদনী। তবে অভিযুক্ত বিধায়ক এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।

জানা গিয়েছে ওইদিন চাঁদনী নায়েক পুর কাউন্সিলের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন জমা দিতে মহালিঙ্গপুরার পুর কাউন্সিল ভবনে যাচ্ছিলেন। জানা গিয়েছে, পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলারদের সমর্থনে তিনি ওই আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। চাঁদনীর অভিযোগ, পুর ভবনের মূল গেটেই তাঁকে ধাক্কা মেরেছিলেন তেরদলের বিধায়ক সিদ্দু সাভাড়ি ও তাঁর অনুগামীরা। তিনি গেটে ধাক্কাখেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। চাঁদনীর স্বামীর অভিযোগ মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থাতেই তাঁর স্ত্রীকে ছেঁচড়ে টেনে নিয়ে গিয়েছিল বিজেপি কর্মীরা।

সেইসময় চাঁদনী ৩ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। ওই আঘাতের পরই তাঁর মাতৃত্ব নিয়ে জটিলতা শুরু হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই বিজেপি কাউন্সিলর। তারপর ওই ঘটনার একমাসের মধ্যেই ডাক্তারদের পরামর্শে গর্ভপাত করতে হয়। চাঁদনীর স্বামী সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, বিজেপি বিধায়ক সিদ্দু সাভাড়ির বিরুদ্ধে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক সিদ্দু সাভাড়ি অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি ছয় বছর আগে ওই কাউন্সিলরের যক্ষ্মা হয়েছিল। তার থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেছেন, জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক অতীতে কোনও গর্ভপাতের ঘটনাই ঘটেনি।

তবে তিনি অস্বীকার করলেও ওই দিন চাঁদনী ছাড়াও বিজেপি-র আরও দুই মহিলা কাউন্সিলর সাবিথা হুরাকাড়লি এবং গোদাবরী-কে মারধর করার অভিযোগ রয়েছে সাভাড়ি ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, তিন বিজেপি কাউন্সিলরই পুর কাউন্সিলের নির্বাচনে দলের থেকে টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছিলেন।

Share this article
click me!