ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বিশেষ বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান।
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সাইক্লোন জাওয়াদ মোকাবিলার চেষ্টা কেন্দ্রের। অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে চলেছে জাওয়াদ। ১০০ কিমি প্রতি ঘন্টা বেগে আছড়ে পড়তে পারে এই সাইক্লোন। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সব উপকূলীয় রাজ্য ও মন্ত্রকের মুখ্য সচিবদের সঙ্গে পরিস্থিতি ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে এবং রাজ্য সরকার, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সাথে যোগাযোগ করছে বলে জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজ্যে SDRF-এর প্রথম দলকে পাঠিয়ে দিয়েছে। এনডিআরএফ রাজ্যগুলিতে ২৯টি দলকে আগে থেকে মোতায়েন রেখেছে ও ৩৩টি দলকে স্ট্যান্ডবাইতে রেখেছে বলে খবর।
ভারতীয় কোস্ট গার্ড এবং নৌবাহিনী ত্রাণ, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের জন্য জাহাজ এবং হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে। বিমান বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার টাস্কফোর্স ইউনিট, নৌকা এবং উদ্ধার সরঞ্জাম সহ, স্থাপনার জন্য স্ট্যান্ডবাই রয়েছে। নজরদারি বিমান ও হেলিকপ্টার উপকূল বরাবর ধারাবাহিক নজরদারি চালাচ্ছে। দুর্যোগ ত্রাণ দল এবং মেডিকেল টিম পূর্ব উপকূল বরাবর অবস্থানে স্ট্যান্ডবাই আছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত ছিলেন, ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, ক্যাবিনেট সেক্রেটারি, স্বরাষ্ট্রসচিব, এনডিআরএফ ডিজি ও ডিজি আইএমডি। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ (Cyclone Jawad)। জাওয়াদের ভয়াবহতা কতটা হতে পারে, কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে ও কেন্দ্র এর মোকাবিলা কী উপায়ে করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা চলে বৈঠকে। বঙ্গোপসাগরে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় যে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলকে প্রভাবিত করতে পারে সে সম্পর্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা মোদীকে অবহিত করছেন।
শাহিনের পর এবার ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। সৌদি আরবের দেওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের অর্থ উদার বা মহান। থাইল্যান্ডের নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে বঙ্গোপসাগরে। আবহাওয়া দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে জাওয়াদ। দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ক্রমশ দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঢুকবে। আগামীকাল এটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ রূপে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দক্ষিণ-পূর্ব পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এ অবস্থান করবে।
শক্তি সঞ্চয় করে সেখানেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এই গভীর নিম্নচাপ। ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে জাওয়াদ। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর এর অভিমুখ হবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। শনিবার সকালে এটি উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা।এর প্রভাবে বাংলার উপকূলে সমুদ্র উত্তাল হবে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের জেরে দুর্যোগের আশঙ্কায় একাধিক ট্রেন বাতিল করেছে রেল।