কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনে বক্তব্য রাখতে গিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমেই ধন্যবাদ দেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। তিনি জানান, ভারতের অনুভূতি বুঝে ইমরান খান যে কর্তারপুর করিডর খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই কারণে তাঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনের ফলে শিখ পুণ্যার্থীর খুব সহজেই পাকিস্তানের দরবার সাহিবে যেতে পারবেন। গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মদিনের আগে কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধন হওয়ার জন্য প্রতিটি ভারতবাসী আন্তরিকভাবে আনন্দিত।
কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, গুরু নানক প্রতিটি মানুষের জন্য প্রেরণা। তিনি যখন কর্তারপুর ছেড়েছিলেন, কেউ কল্পনা করতে পারেননি , তিনি সমাজকে নতুন দিশা দেখাতে চলেছেন। তিনি বিশ্ব ভাতৃত্ব ও একতার মন্ত্র দিয়েছিলেন বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্তব্য করেন। কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি যাত্রী টার্মিনালের উদ্বোধন করেন। এই ভবন থেকেই অনুমতি প্রাপ্ত পুণ্যার্থীরা করিডরে প্রবেশ করবেন বলে জানা গিয়েছে। গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার একটি বিশেষ মুদ্রার উদ্বোধন করেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রথম যে ৫৫০ জন শিখযাত্রী কর্তারপুর যাবেন, সেই দলে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ সানি দেওল। কংগ্রেস বিধায়কত নভজোত সিং সিধুকে দরবার সাহিবে যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন,'পাকিস্তানে সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখতে আমরা আগ্রহী। এখন ঘৃণার রাজনীতি থেকে সকলের বিরত থাকা উচিত। এখখন ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়ার সময়।' এরপরেই তিনি পাকিস্তানকে পরোক্ষে কটাক্ষ করে বলেন, ইসলামাবাদের উচিত দেশের উন্নতির দিকে নজর দেওয়া।