নিজের ফেসবুকে এবং টুইটারে যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে গত ৬ জুন আপত্তিকর পোস্ট করেছেন, তাই গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রশান্ত জগদীশ কানোরিয়া। লক্ষ্ণৌ অঞ্চলের হজরতগঞ্জ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সাব-ইন্সপেক্টর অশোক গুপ্ত। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, যে নিউজ চ্যানেলটি ৬ জুন এই অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছিল তাঁর শীর্ষকর্তাদেরও গ্রেফতার করা হল।
গৌতম বুদ্ধ নগরের এক বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকের মতে, এক রাজনৈতিক দলে কর্মী সমর্থকদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই চ্যানেলের কর্তৃপক্ষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ঠিক কী দেখানো হয়েছিল ওই চ্য়ানেলে?
সূত্রের খবর, এক বেসরকারি চ্য়ানেলে হেমা সাক্সেনা নামক এক মহিলা দাবি করেন। যোগীর সঙ্গে তাঁর ভিডিও কনফারেন্সিং-এ কথা হয়। তিনি বলেন, যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গেই তিনি তাঁর গোটা জীবন কাটাতে চান।
ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে এই অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করার কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছেন চ্যানেলের প্রধান ও সম্পাদককে। অভিযোগ, এই চ্যানেলের সম্প্রচারযোগ্য বৈধ লাইসেন্সও ছিল না। প্রসঙ্গত এই খবরটি শেয়ার করার দায়ে নিজের অরবিন্দনগরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছেন আইআইএমসির প্রাক্তনী প্রশান্ত জগদীশ কনৌরিয়াও। তিনি ওই ভিডিওটি নিজের ওয়ালে মন্তব্য সহ পোস্ট করেন। লক্ষ্ণৌ পুলিশের সাইবার সেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে স্বাধীন সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
তার পরেই সোজাসুজি চ্যানেলের মাথাদের গ্রেফতারি। তাঁদের বিরুদ্ধে ৪০২ ও ৪৬৭ নং ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্য দিকে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্যে প্রশান্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে ৪৯৯ নং ধারায়।