বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে সোমবার। আর সোমবারই সংসদে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্র লকডাউন জারি করেছিল। সেই সময় অভিবাসী শ্রমিকদের মৃত্যুর কোনও তথ্য তাদের হাতে নেই। পাশাপাশি শ্রমিকরা কাজ হারিয়েছে এমন কোনও তথ্য নেই শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের হাতে। তাই ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আর সরকারের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাহুল গান্ধী।
মঙ্গলবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিবাসী শ্রমিক ইস্যুতে সরব হন কংগ্রেসের ওয়াইনাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, মোদী সরকার জানেই না লকডাউন চলাকালীন কতজন প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। কতজন কাজ হারিয়েছ। হিন্দিতে লেখা ট্যুইট বার্তায় রাহুল গান্ধী বলেন, সরকার যদি না গণনা করে তাহলে কী কেউ মারা যায়নি? এমনটা কী হতে পারে। তিনি আরও বলেন দুঃখের বিষয় সরকার প্রাণহানির বিষয় চিন্তা করে না। কিন্তু গোটা বিশ্বের মানুষই লকডাইনের সময় প্রাবাসী শ্রমিকদের মরতে দেখেছিল। কিন্তু সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ অবচেতনে ছিল মোদী সরকার।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মার্চ মাসের শেষ থেকেই লকডাউন জারি করা হয়েছিল দেশে। আর সেই তালাবন্দির সময়ই বহু মানুষ কাজ হারিয়ে আশ্রয় হারিয়ে বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে বন্ধ ছিল ট্রেন ও বাস পরিষেবা। আর স্তব্ধ ভারতে প্রবাসী শ্রমিকরা পায়ে হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। আর সেই সময় থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধী অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্দশার কথা উল্লেখ করোন কেন্দ্রের মোদী সরকারকে নিশানা করে যাচ্ছে। রাহুল গান্ধীর অভিযোগ ছিল মহামারি রুখতে অপরিকল্পিতভাবেই লকডাউন জারি করা হয়েছে দেশে। তবে রাহুল গান্ধী শুধু যে সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন তা নয়। দিল্লিতে অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই কাজের জন্যও বিজেপি নেতা মন্ত্রীরা তীব্র সমালোচনা করেছিলের কংগ্রেস নেতার।
সংসদে বাদল অধিবেশন চললেও বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিন তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। দ্বিতীয় দিনেও তাঁর উস্থিত থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন রাহুল। একটি সূত্র বলছে কিছুদিন পরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তাঁর মায়ের কাছে গেলে দেশে ফিরে আসবেন রাহুল গান্ধী। তারপর তিনি যোগ দিতে পারেন বাদল অধিবেশনে।