কেরলের ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৭২ জন। বন্যার কারণে নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৫৭ জন। বন্যার কারণে বিভিন্নভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন অন্তত ৩২ জন। রিপোর্ট বলছে, বন্যার কারণে কেরলের ২৬৫টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘর ছাড়া প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ।
২.৫১ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১৬৩৯টি ত্রাণ শিবিরে। রবিবার ওয়ানাড়-এর বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিন নিজের সংসদীয় এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। শুধু তাই নয় বন্যাপীড়িতদের নিজের হাতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণও করেন। ত্রাণ শিবিরে গিয়ে সেখানকার বন্যা পীড়িতদের সঙ্গে কথাও বলেন রাগা।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধী লেখেন, 'আমার সংসদীয় এলাকা ওয়ানাড় বন্যার জেরে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রায় কয়েক হাজার মানুষ ঘরছাড়া, অনেককে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।' সেইসঙ্গে সকল মানুষকে ত্রাণ সাহায্য়ের আবেদনও জানান তিনি।
প্রবল বৃষ্টির জের, বন্যার করাল গ্রাসে প্রাণ গেল প্রায় ১৭০ জনের
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, রাজ্যে আগামী দুদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দিল্লির মৌসম ভবনের তরফে কুন্নুর কাসারাগোড এবং ওয়ানাড়ে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কোচির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। দুদিন ধরে বন্ধ থাকার পর রবিবার চালু করা হয়েছে সেই বিমানবন্দর।