রাহুল গান্ধী গরুর গাড়ি চড়ে কোটখুর্দ গ্রাম থেকে কোটা-লালসোট মহাসড়কের দেইখেদা গ্রাম পর্যন্তই যান ভারত জড়ো যাত্রার ৯৫ তম দিনে । তার এই জনসংযোগের অভিনব কৌশল সার ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে।
ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হবার পর থেকেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর একাধিক কার্যকলাপ বার বার এসেছে খবরের শিরোনামে।বিগত বেশ কিছুদিন মা সোনিয়া গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাহুল গান্ধী বন্ধ রেখেছিলেন ভারত জোড়ো যাত্রার কার্যক্রম। অবশেষে মা ছেলের জঙ্গল ভ্রমণের পর রবিবার থেকে ফের শুরু হলো পদযাত্রা । এবং বিরতি থেকে ফিরে এসেই নয়া উদ্যমে জনসংযোগ শুরু করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। জানা গেছে রবিবার গরুর গাড়িতে একদল কৃষক এসেছিলো রাজস্থানে রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানাতে। রাহুল গান্ধী তাদের সেই গরুর গাড়ি চড়ে কোটখুর্দ গ্রাম থেকে কোটা-লালসোট মহাসড়কের দেইখেদা গ্রাম পর্যন্তই যান। তার এই জনসংযোগের অভিনব কৌশল সার ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে।
'রাহুল গান্ধী এদিন কোর্টে এসে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি কৃষকদের অভিযোগও শোনেন' এমনই জানান স্থানীয় কংগ্রেস নেতা মহাবীর মীনা। তিনি আরও বলেন যে রাহুল গান্ধী সেদিন তার অনুরোধেই গাড়িতে উঠে গরুর গাড়ির লাগাম ধরেন।এবং লবন গ্রামে যাবার পথে কোটখুর্দ এবং দেইখেদা গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রায় ৫০০ মিটার পথ অতিক্রম করেন।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও রবার্ট ভদ্রা সন্ধ্যায় বুন্দি জেলার লাবান থেকে লেখারি রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পদযাত্রা করার সময় রাহুল গান্ধী তাদেরভ সঙ্গে এসে যোগ দেন পদযাত্রায়। তার সঙ্গে এই পদযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন জেলা কংগ্রেস সহ সভাপতি চরমেশ শর্মাও।
আগামী ২১ সে ডিসেম্বর পদযাত্রাটি হরিয়ানায় প্রবেশ করবে। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে ১৭ দিনেরও বেশি সময় ধরে ঝালাওয়ার, কোটা, বুন্দি, সওয়াই মাধোপুর, দৌসা এবং আলওয়ার জেলার মধ্য দিয়ে রাজস্থানে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে ফেলেছে।