চলতি বছর প্রায় ৭ দশক বাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণ হয়েছে। তারপরই ঢেলে সাজচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া। ৫০০ বিমান কেনার সিদ্ধান্ত সংস্থার।
ঢেলে সাজচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে প্রায় ৫০০ বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিতে চয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। সূত্রের খবর এয়ারবাস আর বোয়িং-কেই ৫০০ বিমানের বরাত দিতে পারে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর ৪০০টি ছোট বিমান ও ১০০টি তার থেকে বড় বিমানের বরাত দিতে পারে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে Airbus A350s এবং Boeing 787s এবং 777s বিমান। তবে এয়ারবাস ও বোয়িং- এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তকর্তা জানিয়েছেন গোটা পরিষেবাকেই ঢেলে সাজানের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই চুক্তিটি একটি বড় চুক্তি হিসেবে প্রতিপন্ন হতে পারে। প্রায় ১০০ বিলিয়নের ওপর হতে পারে। এক দশক আগে ৪৬০ এয়ারাস ও বোয়িং জেটের জন্য আমেরিকান এয়ারলাইন্স যে চুক্তি করেছিল তাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে। সূত্রের খবর ৫০০ বিমান পেতে প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় লাগবে। সেই সময়ের মধ্যে ভারতের ট্রাফিক প্রবাহের উল্লেখযোগ্য অংশ টাটারা ফিরে পাবে বলেও মনে করছে এই সংস্থা।
চলতি বছর প্রায় ৭ দশক বাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে টাটাদের হাতে পৌঁছে গেছে এয়ার ইন্ডিয়া। তারপর থেকে এই সংস্থার পুনরুজ্জীবনের দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বিমান কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও টাটা গোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খোলেনি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণকালে এয়ার ইন্ডিয়াই ছিল প্রবাসী ভারতীয়দের ভরসা। কারণ এই সময় বন্দে ভারত মিশনের নেতৃত্ব দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়া। সেই সময়ও এই সংস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে ছিল। মহামারির সময় বিদেশ থেকে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে সর্বদা সামনের সারিতে ছিল এয়ার ইন্ডিয়া। বেসরকারি সংস্থার বিমানও বন্দে ভারত মিশনের অংশ ছিল। কিন্তু এয়ার ইন্ডিরা বিমান সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয়েছিল। তারপরই এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণ হয়। টাটা গোষ্ঠী কিনে নেয় এই সংস্থা। যদিও এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতাও ছিল টাটা গোষ্ঠী। যাইহোক বর্তমানে টাটা গোষ্ঠী এয়ার ইন্ডিয়াকে যে ঢেলে সাজাতে চাইছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রের খবর যাত্রী পরিষেবা ও যাত্রীদের চাহিদা মেটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চুক্তি প্রায় শেষ পর্বে। তবে এখনও সংস্থার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানান হয়নি। সূত্রের খবর চুক্তির পরেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে।