শচীন পাইলটকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জয়পুরের বৈঠকে, মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবিতে অনড় প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী

আজও বিধায়কদের বৈঠকে গরহাজির 'বিদ্রোহী' শচীন পাইলট
সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জয়পুরে কংগ্রেসের বৈঠকে 
ঘনিষ্ঠদের মাধ্য়মে দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রীত্বের 
বিজেপিতে যাচ্ছেন না বলেও দাবি জানালেন
 

Asianet News Bangla | Published : Jul 14, 2020 8:23 AM IST / Updated: Jul 14 2020, 02:13 PM IST

শচীন পাইলট আর অশোক গেহলট শিবিরের মধ্যে এখনও সংখ্যা নিয়ে যুদ্ধ চলছে। নিজের দাবি থেকে সরে আসতে অনড় রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট। এদিনও নির্দেশ অমান্য করেই গরহাজির রইলেন মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বিধায়কদের বৈঠকে। সোমবারও মুখ্যমন্ত্রী বাসভবনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন শচীন পাইলট। তবে তিনি গতকালই জানিয়েছিলেন বিধায়কদের সংখ্য়া গরিষ্ঠতার প্রমান দেওয়া জায়গা কারও বাগান হতে পারে না। 

সূত্রের খবর দিল্লির কাছে একটি রিসর্টে রয়েছেন শচীন পাইলট। কংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। যদিও এদিনও তাঁর এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী জানিয়েছেন এখনও প্রধানমন্ত্রীর পার্টিতে যোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করেননি শচীন পাইলট। তবে তাঁর পক্ষ থেকে এদিন তিনটি দাবি করা হয়েছে। যার প্রথম দাবিই অশোক গেহলটকে সরিয়ে দিয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করা হোক তাঁকে। তাঁর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দাবি হল রাজস্থানের পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক অবিনাশ পাণ্ডেকে। আর সেই দায়িত্ব দেওয়া হোক তাঁর ঘনিষ্ট কাউকে। 


শচীন পাইলটের অভিযোগ তাঁকে রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী করা হলেও তাঁর সিদ্ধান্তকে কোনও গুরুত্ব দেননি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। দুটি দফতরের দায়িত্ব তাঁর হাতে থাকলেও  আমালা থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মী নিয়োগের স্বাধীনতাও দেওয়া হয় না তাকে। উপরন্তু উত্তর প্রদেশে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে নিজের লোক সবানোর চক্রান্ত করেছেন অশোক গেহলট। 

তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এদিনের বিধেয়েকদের বৈঠকে যাঁরা অনুপস্থিত থাকবে তাদের সোকজ নোটিস পাঠান হবে। যার উদ্দেশ্য হল শচীন পাইলটকে সতর্ক করে দেওয়া। কিন্তু কংগ্রেসের নির্দেশ সত্ত্বেও শচীন পাইলট ও তাঁর ১৬ ঘনিষ্ট বিধায়ক বৈঠকে গরহাজির রইলেন।  এদিন বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে আবেদন জানিয়েছেন রাজস্থানের পর্যবেক্ষক অবিনাশ পাণ্ডে। কিন্তু নিজের জেদে অনড় শচীন পাইলট কংগ্রেসের আবেদনে কোনও গুরুত্ব দেননি। জয়পুরের বিধায়কদের বৈঠকে তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শচীন ঘনিষ্ঠ দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। 

 

অন্যদিকে শচীন শিবির থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ১৬ বিধায়ককে। কিন্তু সেই ভিডিওতে অনুপস্থিত শচীন পাইলট। কিন্তু পাইলটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে কংগ্রেসের ১৭ বিধায়ক ও তিন নির্দল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। 


অন্যদিকে প্রথম পর্যায়ে জয়ের হাসি হেসেছেন মুখ্য়মন্ত্রী অশোক গেহলট। তাঁর পক্ষে ১০০ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে দবে দাবি করেছেন। ঘোড়া কেনাবেচা বন্ধ করতে ১০০-এর বেশি বিধায়ককে পাঠান হয়েছে একটি বিলাশবহুল রিসর্টে। তবে রাজস্থান নিয়ে যে দর কষাকষি বন্ধ হয়নি তা স্পষ্ট করেছিলে কংগ্রেসের একটি সূত্র। 

Share this article
click me!